ভারতে করোনা (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৭ আগস্ট: দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ ছুঁই ছুঁই। পিছিয়ে নেই রাজ্যও। রবিবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন (Coronavirus Cases In West Bengal) ৩ হাজার ৬৬ জন। যার ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৯৮ জন। এদিকে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ হাজার ৯৩৫ জন। যার জেরে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬ হাজার ৭৭১ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৪.৪৮ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ২৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আরও ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ২,৪২৮ জন করোনার বলি হলেন।

সূত্রের খবর, আগের দিনের তুলনায় টেস্টের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এদিন ৬৬টি ল্যাবে মোট ৩২ হাজার ২৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার অনুপাতে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬০৯ জন। করোনার থাবায় থরহরিকম্প তামাম দুনিয়া। ধুঁকছে পশ্চিমবঙ্গও। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই ফের সাপ্তাহিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। তবে এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে করোনার প্রকোপ। সুস্থতার হার বাড়লেও ৫০ এর উপরে করোনা রোগীর মৃত্যু রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের চিন্তায় ফেলেছে। অন্যদিকে করোনার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির লাগামছাড়া বিলের ঠেলায় এমনিতেই নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়ায় এক মাত্র শিবপুর শ্মশানে করোনা-দেহ দাহ করা হচ্ছে। অভিযোগ, সেখানে দেহ পৌঁছনো নিয়ে শুরু হয়েছে এমনই অমানবিক ঘটনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই পুরসভার শববাহী গাড়িতে দেহ তোলার ডোম সব সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন পুলিশ হাওড়ার ডোমপাড়া থেকে লোক পাঠাচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদেরই একটি অংশ মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে টাকা রোজগারের চেষ্টা করছেন। আরও পড়ুন-Chetan Chauhan Passes Away: প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার চেতন চৌহান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু

সূত্রের খবর, পুলিশ ও পুরসভার কর্মীদের সামনে প্রায় রোজই এমন ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কোভিড-দেহ সৎকারের কাজে সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ, বাড়ি থেকে মৃতের দেহ শববাহী গাড়িতে তুলে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাওয়া হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, শ্মশানে মৃতের মুখ দেখতে গেলে দর দেওয়া হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। স্থানীয় সূত্রের খবর, পুরসভার ডোম সব সময়ে না পাওয়া যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাওড়ায় ওই অসাধু চক্র তৈরি হয়েছে।