কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) কোটি কোটি টাকার শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে, ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের পদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বাছাই করার জন্য প্রশ্নপত্রগুলি সম্ভাব্য আগাম ফাঁস হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, মূলত সিলেক্টিভ পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ (Trinamool Congress leader, Kuntal Ghosh)। গত ২১ জানুয়ারি তাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্ত সংস্থা যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে তা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কুন্তল ঘোষ এবং রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করেছিলেন।
কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নথি থেকে ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের কপিও উদ্ধার করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তারা। গ্রেফতার হওয়া যুব নেতাকে টাকা দিয়ে রাজ্য পরিচালিত স্কুলে শিক্ষক হিসাবে চাকরি পাওয়া ৩৫ জনের নাম ইডির হাতে এসেছে। তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে। মনে করা হচ্ছেচ নিয়োগ কেলেঙ্কারিটি একাধিক স্তরে রয়েছে, যেখানে আবার একাধিক খেলোয়াড় এবং একাধিক কোণ জড়িত রয়েছে। এক স্তর অনাবৃত হওয়া অন্য স্তরগুলির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইডি-র এক আইনজীবী।
ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, তাদের শিক্ষাগত রেকর্ড অনুযায়ী, কিছু অত্যন্ত কম গড়পড়তা প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রচুর নম্বর পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তাদের একাডেমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন শিটে (OMR Sheet) তাদের প্রাপ্ত নম্বরের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেনি।