
কলকাতা, ২৩ মে: চিপস (Chips) চুরির অভিযোগে মারধর। প্রকাশ্যে মারধর করা হয় সপ্তাম শ্রেণির পড়ুয়াকে। লজ্জা, ঘৃণায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা (Suicide) করে বছর ১২-র কিশোর। মৃত্যুর আগে মায়ের জন্য সুইসাইড নোট লিখে রেখে যায় ওই পড়ুয়া। যেখানে লিখে রাখে, মা আমি চিপস চুরি করিনি।' পাঁশকুড়া (Panskura) থেকে এমনই একটি খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য।
জানা যায়, এক সিভিক ভলান্টিয়ার সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে (Student) প্রকাশ্যে মারধর করে। ভয়ে, লজ্জায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোর। মৃত্যুর আগে মায়ের জন্য সুইসাইড নোট লিখে রেখে যায় ওই ছাত্র। কীটনাশক খাওয়ার পর সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাকে বাঁচানো যায়নি।
পাঁশকুড়ায় ওই ঘটনা ঘটে গত রবিবার। ওইদিন স্থানীয় একটি দোকানে ওই কিশোর যায়। সেখানে ঘটনাক্রমে অঘটন ঘটে যায়। ওই কিশোর চিপেসর প্যাকেট চুরি করেছে বলে দাবি করেন ওই দোকানদার। এরপর পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করেন। আশপাশে রটিয়ে দেন, ওই কিশোর চুরি করেছে। লজ্জায়, অপমানে এরপর ওই কিশোর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। মৃত্যুর আগে লিখে রেখে যায়, মায়ের জন্য সুইসাইড নোট।
সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন ওই দোকানদারকে মারধর করেন। যার ভিত্তিতে পালটা অভিযোগ দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগের পর পুলিশ পরপর ৬ জনকে গ্রেফতার করে বলে খবর।