নয়া দিল্লি, ১৫ জুনঃ লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে বিক্ষপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোট পর্ব মিটলেও জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকেরা হিংসার শিকার হচ্ছে তাই এখনই রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে প্রত্যাহার করা না হয় সেই দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন শুভেন্দু। সেই মামলায় রায় জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এত কিছু সত্ত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাশ পড়েনি মমতার বাংলায়। তাই এবার রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দল পাঠাবে বিজেপি (BJP)।
শনিবার বিবৃতি জারি করে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) পশ্চিমবঙ্গে অব্যাহত থাকা ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। যারা রাজ্যে এসে পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সেই সঙ্গে দল বাংলায় হিংসার রিপোর্ট জমা করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। কমিটিতে লোকসভা এবং রাজ্যসভার চার সদস্য রয়েছেন। লোকসভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, যিনি কমিটির আহ্বায়ক এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ। রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজ লাল এবং কবিতা পাতিদার।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জুড়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে শান্তিপূর্ণ ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি, কেবল পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া। যেখানে ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও অশান্তি অব্যাহত। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিজেপি অভিযোগ করেছে, তাঁর দলের গুন্ডারা বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের আক্রমণ করছে আর সেটা নীরব দর্শকের মত দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হাইকোর্টে হস্তক্ষেপের পরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।