কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: শেষ হল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Board Exam 2020)। আজ শেষদিনে ঐচ্ছিক বিষয়ের (Optional Elective Subjects) পরীক্ষা ছিল। এই বছর, টুকলি ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Secondary Education)। যদিও সব ব্যবস্থা সত্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো যায়নি। বুধবার ছিল জীবন বিজ্ঞানের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র। জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওই প্রশ্নপত্র। মুর্শিদাবাদের অর্জুনপুর সোশাল গ্রুপেই সন্ধান পাওয়া যায় জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নের।
এছাড়া কলকাতা পুলিশ পরীক্ষার সময় মাইকিং, তারস্বরে গান ও শব্দ তাণ্ডব রুখতেও ব্যবস্থা নিয়েছিল। অভিযোগ করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চালু করেছিল কলকাতা পুলিশ। তবে এই বছর বোর্ড বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিভিন্ন জেলায় মোবাইল ইন্টারনেট স্থগিত করা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন: Polba Accident: আগের থেকে সুস্থ দিব্যাংশু, হাসপাতাল থেকে বাড়ির পথে পোলবা দুর্ঘটনায় আহত খুদে
এক নজরে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘটনা:
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল। শিক্ষকদের পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
পরীক্ষা কেন্দ্রে একমাত্র বোর্ডের অফিসার ইনচার্জ, সচিব, ভেন্যু সুপারভাইজার এবং অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজার বৈদ্যুতিন গ্যাজেট নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শব্দদূষণ রোধে লাউড স্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। কলকাতা পুলিশ শিক্ষার্থীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছিল, যাতে তারা পড়াশোনার সময় শব্দদূষণ সংত্রান্ত কোনও অভিযোগ করতে পারে।
এত ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ব্যর্থ হয়েছিল। ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কমপক্ষে তিনটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার ছিল জীবন বিজ্ঞানের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় জীবনবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র।
প্রথম দিনেই বাংলার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। মাধ্যমিকের ভূগোলের পরীক্ষা শুরুর আগেই ফাঁস হয়ে যায় প্রশ্নপত্র।
এছাড়া ভিডিয়ো শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন টিকটক-এ ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। প্রশ্নপত্র ভাইরাল হওয়ার পরে মালদা থেকে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় অংকের প্রশ্নপত্রের ছবি তুলতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী ধরা পড়েছিল।
এই বছর পরীক্ষা দিয়েছে ১০,১৫,৮৮৮ জন ছাত্র-ছাত্রী, যা আগের বছরের থেকে ৩৩,০০০ কম। মোট ২,৮৩৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা চলেছে।