কলকাতা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: অনেক চেষ্টা করেও ঋষভকে বাঁচাতে পারেননি এসএসকেএমের (SSKM) চিকিৎসকরা। টানা ৮ দিনের লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল ছোট ছেলেটি। আজও সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি ঋষভের পাড়া। ঋষভের মৃত্যুর ঘটনয় থমথমে গোটা এলাকা। কিন্তু অন্যদিকে মিলল একটি খুশির খবর। পুলকার (Pool Car Accident) উল্টে দুর্ঘটনার জেরে প্রাণের সঙ্গে লড়ছিল ঋষভের পাশাপাশি দিব্যাংশুও। প্রচুর পাঁক ঢোকায় দিব্যাংশুর ফুসফুস প্রায় অকেজো হয়ে গেছিল। বহু লড়াইয়ের পর অবশেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে দিব্যাংশু।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনেকটাই সুস্থ এখন দিব্যাংশু। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রাও কমে এসেছে প্রায়। আর হয়তো কিছু সময়ের অপেক্ষা। বাড়ি যেতে পারবে সে। চিকিৎসকদের থেকে সেকথা জানতে পেরে শান্তির নিশ্বাস ফেলছেন দিব্যাংশুর মা-বাবা এবং পরিবার-পরিজন। হুগলির পোলবা, দিল্লি রোডে ঘটে সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় পুলকারটি। বছর ৮-র দুই পড়ুয়া ঋষভ সিংহ, দিব্যাংশু ভগতকে ‘গ্রিন করিডর’ (Green Corridor) তৈরি করে হুগলি থেকে এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়। আরও পড়ুন: Polba Accident: টানা আটদিন লড়াই শেষে মৃত্যু পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় পড়ুয়া ঋষভের
তাদের চিকিৎসার জন্য চেস্ট মেডিসিন, কার্ডিয়ো-থোরাসিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, সিসিইউ-সহ সাত বিভাগের চিকিৎসককে নিয়ে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ড জানিয়েছিল, দু’জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব চেষ্টা-লড়াই ব্যর্থ প্রমাণ করে কিছুদিন আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঋষভ। দিব্যাংশুকে বাঁচাতে জোরদার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন চিকিৎসকেরা। লড়াই চালাচ্ছিল দিব্যাংশুও। ঋষভের মৃত্যুর দিনই জ্ঞান ফেরে তার। এরপর ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয় দিব্যাংশু। আসতে আসতে এরপর সুস্থ হয়ে ওঠে সে। কিন্তু সুস্থ হয়ে উঠলেও ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার আতঙ্ক কী তার মন থেকে কোনওদিন মুছে যাবে? সেই আতঙ্কেই রয়েছেন দিব্যাংশুর মা-বাবা।