কলকাতা, ১৩ জুন: রাজ্যে এখন চলছে 'কার্যত লকডাউন'। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য আলনকের পথে। দিল্লিতে মেট্রো, বাসও চলছে। বাংলায় সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ নেমে এসেছে ৪২৮৬-তে। আর দৈনিক মৃত্যু নেমেছে ৮১-তে। কার্যত লকডাউন জারির পর থেকেই সংক্রমণের শৃঙ্খল কমতির দিকে। তবে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করে কার্যত লকডাউন চললেও রাজ্যের আর্থিক দিক থেকে ক্রমশ চাপ বাড়ছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই চাপে। ফলে রাজ্যের অর্থনৈতিক হাল মোটেও ভাল নয়। মঙ্গলবার, ১৫ জুন শেষ হচ্ছে কার্যত লকডাউইনের মেয়াদ। আরও পড়ুন: ৭১ দিন পর নিম্নমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্ৰমণ, কমল মৃতের সংখ্যাও
এমন অবস্থায় ফের কার্যত লকডাউনেরক মেয়াদ বাড়াবে রাজ্য সরকার! নাকি আরও বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে তা নিয়েই চলছে জল্পনা। একটা জিনিস নিশ্চিত প্রথম ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব নিয়ন্ত্রণ তুলে নিয়ে একেবারে 'কার্যত লকডাউন' প্রত্যাহার করা হবে না।
গতবারের চেয়েও এবার অনেক বেশি ধাপেধাপে তোলা হবে নিয়ন্ত্রণ। রাজ্য সরকারের সুবিধা হল, এবার মানুষ অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত লকডাউনে মানুষই সাড়া দিয়েছে। এবার বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করা হবে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতাও। তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, করোনায় নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদ বাড়ছে নিশ্চিত, তবে আর্থিক দিকের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বড় ছাড় দেওয়া হতে পারে। বাজার খোলার সময়সীমার বাড়ানো থেকে, যানবাহন চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ রেখে ছাড় দিতে পারে নবান্ন। শপিং মলগুলিও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই চালুর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা রয়েছে। এমন জল্পনাই চলছে। পুরো সিদ্ধান্তই নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।