পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের 'নবান্ন অভিযানের' পর জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে সোমবার লালবাজার অভিযান (Lalbazar Abhijan) ঘিরে ফের তটস্থ রাজ্য সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত মহিলা জুনিয়র চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় ১ মাস হতে চলল। সুবিচারের দাবিতে রোজই রাজ্যের নানাপ্রান্তে পথে নামছেন সাধারণ মানুষ। শুরু থেকেই আরজি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে লালবাজার সেই অভিযোগও উঠছে আন্দলনমঞ্চ থেকে। এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের (Vineet Goyal) পদত্যাগের দাবিতে সোমবার 'লালবাজার অভিযান' এর (Lalbazar Abhijan) ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। লাল গোলাপ, রজনীগন্ধার মালা, জাতীয় পতাকা হাতে চিকিৎসকদের মিছিল এগোচ্ছে।
দুপুর ২টোয় কলেজ স্কোয়্যারে জমায়েত করে সেখান থেকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে মিছিল রুখতে কড়া প্রস্তুতি শুরু করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। বৌবাজার, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে আনা হয় বিশাল লোহার গার্ডরেল। মাছিও যাতে গলতে না পারে সেই লক্ষ্যে লোহার গার্ডরেলের পর বাঁশের ব্যারিকেটও বসানো হয়। আন্দোলনকারীদের উপর নজর রাখতে আকাশে উড়ছে একাধিক ড্রোন।
একদিকে চিকিৎসকদের আন্দোলনে বাড়ছে ভিড় অন্যদিকে লালবাজার চত্বরে বাড়ছে পুলিশের ভিড়ও। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে এলাকা। জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকা মিছিলে হাঁটলেন কামদুনি-কাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমি কয়াল। পথে নামলেন বহু সাধারণ মানুষও। সারি সারি মাথা এগিয়ে চলেছে লালবাজারের পথে। পুলিশ কমিশনারের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবি জানাবেন তাঁরা। তবে ফিয়ার্স লেনের মুখে আটকে দেওয়া হল মিছিল। মিছিল এগোতে না দেওয়ায় রাস্তার উপরেই বসে পড়ছেন আন্দোলনকারী। নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পুলিশ কমিশনের পদ থেকে বিনীত গোয়েল পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁদের এই অবস্থান জারি থাকবে। রাস্তায় জ্বালানোহ হল পুলিশ কমিশনারের কুশপুতুল।
লালবাজারের তরফে জানানো হয়, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে ভিতরে যাওয়ার অমুনতি দেওয়া হবে। কিন্তু পালটা জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, ফিয়ার্স লেন থেকে বেন্টিং স্ট্রিট পর্যন্ত তাঁদের যেতে দিতে হবে।