প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Pixabay)

হাঁসখালি, ৮ এপ্রিলঃ ভরা বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। নদিয়ার হাঁসখালিতে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও বাজার করতে বেরিয়েছিলেন ওই নেতা। রোজ যে চায়ের দোকানে বসেন সেখানে বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানত সেখানে কী অপেক্ষা করছে তাঁর জন্যে।

মোটরবাইক নিয়ে একদল ব্যক্তি আসেন সেখানে। প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। তাঁদের সঙ্গে কিছু কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতার। এরপরের দুষ্কৃতীরা নেতাকে তাক করে পরপর গুলি ছোঁড়েন। নিমেষের মধ্যে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তাঁরা।

রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আমোদ আলি বিশ্বাস। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে জান। সেখানেই আমোদকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকরা। মৃতের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্যে। কারা, কী কারণে আমোদকে খুন করল তাঁর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

মৃতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, এর আগেও আমোদের উপর হামলা করা হয়েছিল। মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী জানান, এলাকার স্থানীয় শত্রুতা এর আগে তিনবার তাঁর স্বামীর উপর বোমা হামলা করেছিল। কিন্তু কোনরকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন আমোদ।

তৃণমূল রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন আমোদের খুন প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধী দলের গুন্ডারা প্রাণে মেরেছে আমোদ আলিকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিরোধীরা।