কলকাতা,১ ৫ অক্টোবর: যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়ের নিগ্রহ কাণ্ড থেকে জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড। বারবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এবার মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) -র প্রশাসনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের অভিযোগ তাঁকে 'সেন্সর' করা হচ্ছে। গত শুক্রবার, ১১ অক্টোবর রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপুজোর কার্নিভালে তাঁকে রীতিমত অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। কার্নিভাল তাঁকে নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের অবহেলায় তাঁর চোখে প্রায় জল এসে গিয়েছিল বলেও তিনি জানান। পুরো ঘটনায় তিনি ব্যথিত বলে রাজ্যপাল জানিয়েছেন।
রাজ্যপাল জানান, কার্নিভালের দিন চার ঘণ্টা দিন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এতক্ষণ বসে থাকলেও, তাঁকে কোথাও দেখানো হয়নি। তাঁর নাম উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। এই ঘটনায় তিনি যথেষ্ট অপমানিত বোধ করেছেন বলে তিনি জানান। আরও পড়ুন-মেদিনীপুর: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল ছাদ, বারুদের আগুনে ঝলসে একজনের মৃত্যু
West Bengal Governor: This bad taste in my mouth has been created by people who perhaps do not have the mindset and the large heart that people of West Bengal have. Insult was not to me, insult was to the culture of West Bengal. It was an insult to every person of the state. https://t.co/AtDf3uATAg
— ANI (@ANI) October 15, 2019
ঠিক কী কী অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল
১) সেদিন কার্নিভালে রাজ্য সরকার তাঁকে কার্নিভালে আমন্ত্রণ করেও পদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি ৷ ২) আলাদা মঞ্চে বসিয়ে রেখে আমাকে অপমান করা হয়েছে ৷ ৩) মঞ্চে ২০-২২ জনের পিছনে বসতে দেওয়া হয় ৷ দীর্ঘ ৪ ঘণ্টার মধ্যে বহুবার আসন বদলের অনুরোধ করেও লাভ হয়নি ৷
West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar on reports that he was sidelined by state govt at a Durga puja event on 11 Oct:I appreciate this discourteous approach by govt for the 1st servant.I'm sure they'll do soul searching&make amends.We're part of 1 state. I'm deeply hurt&disturbed pic.twitter.com/l04r0N5s0G
— ANI (@ANI) October 15, 2019
ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানান, যারা এমন কাজ করলেন, তারা আসলে তাঁকে নয়, তার আসলে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির অপমান করল। তিনি রাজ্যের প্রথম নাগরিক ও সাংবিধানিক প্রধান হওয়া সত্ত্বেও এই অপমান আসলে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের ওপর অপমান বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন জগজীপ ধনকড়। ।