কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর: রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে পশ্চিমবঙ্গকে পিছিয়ে পড়ার তকমা দিয়েছিলেন। এদিন নবান্নে তারই জবাব দিলেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, “অমিত শাহ কিছু কিছু কথা পুরো মিথ্যা বলে গিয়েছেন। গার্বেজ অব লাইজ। উনি বলেছেন শিল্পে আমরা শূন্য। এমএসএমই-তে আমরা এক নম্বরে। গ্রামীণ রাস্তা তৈরিতেও পয়লা নম্বরে। এটা আমার নয়, কেন্দ্রের তথ্য। আমি অমিতজিকে বলব, আপনি তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটা আপনাকে শোভা দেয় না। আপনার দল কোনও খারাপ বা মিথ্যা কথা শিখিয়ে দিচ্ছে, সেটা আপনি যাচাই না-করে বলছেন! বলার আগে কষ্ট করে যাচাই করুন। যে কথাগুলি কাল বলে গিয়েছেন, সব তথ্য আছে আমার কাছে।”
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে ফের এনিয়ে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের পরিষেবা খাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আরও প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা দপ্তরগুলির জন্য মঞ্জুর করল রাজ্য। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে দুয়ারে সরকারের চতুর্থ দফার কর্মসূচি শেষ হবে ২৫ জানুয়ারি। পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে ইতিমধ্যেই ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আরও ৮৭০০ কোটি টাকা দপ্তরগুলির জন্য মঞ্জুর করেছে রাজ্য। এর মধ্যে পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর পাবে এক হাজার কোটি টাকা করে। পূর্ত দপ্তরের কাছে যাবে দেড় হাজার কোটি টাকা। পুর ও নগরোন্নয়ন এবং সেচ দপ্তর পাবে যথাক্রমে সাতশো এবং আটশো কোটি টাকা। স্বাস্থ্যসাথী বাদে কোভিড এবং অন্যান্য খরচের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর পাচ্ছে ছ’শো কোটি টাকা। আরও পড়ুন-Sir Don Bradman: নিলামে এবার স্যার ডন ব্রাডম্যানের ডেবিউ টেস্টের টুপি, কত ডলারে বিকোলো কিংবদন্তীর ব্যাগি গ্রিন?
সরকারের হিসেব বলছে, গত বছর উপভোক্তাদের পরিষেবা খাতে ১৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। এ বছর ২৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এখনও পর্যন্ত ন’হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই খাতে। পরিষেবা দিতে আরও প্রায় ১৫ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এদিকে দুয়ারে সরকার প্রকল্প নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা বিশ্বের ইতিহাসে মডেল হবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে চলা ১১ হাজারের বেশি দুয়ারে সরকার শিবিরে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ১২ লক্ষের বেশি মানুষ যোগাযোগ করেছেন। ১২টি মূল প্রকল্পে ৭১ লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে শিবিরগুলিতে। তার মধ্যে ৩৮.৮৮ লক্ষ আবেদনপত্র অনুমোদন করে পরিষেবা নিশ্চিত করা গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন স্তরের অফিসারার মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাই কর্মসূচির শেষে শুধু শংসাপত্রই নয় প্রত্যেককে দুমাসের জন্য ৫ হাজার টাকা টিফিন ভাতাও পাবেন।”