সোমবার তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচন (By Election)। তাই শেষ দিনের প্রচারে ঝড় তুলল সব রাজনৈতিক দল। প্রার্থীদের সমর্থনে পথে নামলেন বিভিন্ন দলের হেভিওয়েটরা। খড়গপুর, করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ। তিন কেন্দ্রেই ২৫ নভেম্বর উপনির্বাচন। শনিবারই ছিল প্রচারের (Campaign) শেষ দিন।
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে (2016 Assembly Election) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) জিতেছিলেন সতেরো হাজার ভোটে। গত লোকসভা ভোটেও ১৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে তৃণমূলের (Trinamool) লিড ছিল। তবে বিধানসভা ভোটে মহুয়া যাঁকে হারিয়েছিলেন তিনি ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ। আর এখন বিজেপির ভোট প্রচারে অন্যতম বক্তা। সাধারণ ভোটারদের সামনে বিজেপির হয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন তিনি। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, মহুয়া চষে বেড়িয়েছেন করিমপুরের সদর এলাকা থেকে সীমান্তের গ্রাম। এনআরসি ইস্যুতে সরাসরি মুসলিম ভোটারদের সতর্ক করে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘মুসলিমদের এটা বাঁচার লড়াই।’ সীমান্তের হিন্দু ভোটারদের তিনি বলেছেন, ‘অসমে হিন্দুদের একটা বড় অংশকে অন্য তালিকায় রাখা হয়েছে। বিজেপির বীজ পুঁতলে ভারত আর ভারত থাকবে না।’ আরও পড়ুন: Locket Chatterjee On Para Teachers Agitation: পার্শ্বশিক্ষকদের অনশনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর; ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির লকেট চ্যাটার্জির
এদিকে তৃণমূলের ঢিলের পালটা পাটকেল ছুড়ছে বিজেপিও (BJP)। তৃণমূলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই লড়তে মরিয়া বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারও (Jayprakash Majumder)। স্থানীয় আবেগে সুড়সুড়ি দিতে কৃষ্ণনগরের আদি বাসিন্দা এবং করিমপুরের বাগচি-জমশেরপুরে তাঁর মামার বাড়ির কথা প্রচার করছেন ভোটারদের (Voter) কাছে। স্থানীয় চাষিদের (Farmer) উৎপাদিত পান প্রত্যেক বছর নষ্ট হয়ে যায় শুনে কোল্ড স্টোরেজ (Cold Storage) বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। জেলা সদর কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।