কৃষ্ণনগর, ৭ জানুয়ারি: ফের নিজের বক্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে (Pro CAA) কৃষ্ণনগর শহরে এক মহামিছিলের আয়োজন করে বিজেপি। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে যখন দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রাখছেন, তখন একটি অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে চলে আসে। বিজেপির সভা চলছিল রাস্তা আটকে। তবে দিলীপ ঘোষ কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ ছাড়তে অস্বীকার করেন। সাফ জানিয়ে দেন যে সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারবে না। অন্যপথে ঘুরে যেতে হবে। পরে এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিলীপবাবু জানান, তাঁর সভা বানচাল করতেই অ্যাম্বুল্যান্স ভিড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে কোনও রোগী ছিল না।
সামনেই কৃষ্ণনগরের পুরভোট, তার আগে এই সভা করে বিজেপি আসলে সেখানকার শক্তির পরিকাঠামো কতটা মজবুত তা একবার পরখ করে নিতে চাইছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি কৃষ্ণনগর উত্তরের লোকেই সভাস্থল ভরেছিল। প্রায় দু’হাজার লোকছিল। এখন এখানেও উড়বে গেরুয়া পতাকা। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অসীম সাহার দাবি, “কোথায় লোক? এত ছন্নছাড়া মিছিল আগে কোনও দিন দেখিনি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বেশির ভাগ লোক এসেছেন পাশের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা-বনগাঁ থেকে। কৃষ্ণনগর শহর থেকে খুব বেশি বলে ৫০টা লোক ছিল।” আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: ৮ তারিখে ভারত বনধে মুখ্যমন্ত্রীর না, রুখে দেখাক; হুমকি দিলেন বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী
#EXCLUSIVE | Bengal BJP chief Dilip Ghosh speaks to TIMES NOW on blocking an ambulance during a public meeting in Krishnanagar, WB.
‘The ambulance was empty & it was disturbing the rally’, says Dilip Ghosh. pic.twitter.com/sS8zjT3ZS7
— TIMES NOW (@TimesNow) January 7, 2020
জানা গিয়েছে, সোমবার যখন কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক ফাঁকা রাস্তায় বসে দিলীপবাবুর বক্তব্য শুনছেন। রাজ্য সভাপতি সবে তখন মঞ্চে উঠেছেন, চলছে বক্তৃতা। হঠাৎ হুটার বাজিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের আগমন ঘটল সভাস্থলে। দিলীপ ঘোষ অ্যাম্বুল্যান্সকে পত্রপাঠ বিদায় করে দিতেই উপস্থিত জনতা একেবারে হকচকিয়ে যায়। আর সে দিকে তাকিয়ে দিলীপ মাইকে কর্মীদের উদ্দেশে দাবি করলেন, এটা আসলে তাঁর সভা বানচাল করার চক্রান্ত। সভাস্থলে উপস্থিত অনেকেই অবশ্য এই ঘটনা দেখে অবাক। তবে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশুতোষ পালের দাবি, “ওই অ্যাম্বুল্যান্সটা ফাঁকা ছিল। তাতে কোনও রোগী ছিল না। তাই অন্য পথে যেতে বলা হয়েছে। রোগী থাকলে আমরাই ভিড় সরিয়ে সেটিকে এগিয়ে দিতাম।”