কলকাতার বৃষ্টির ফাইল ছবি।(Photo Credits: Wikimedia)

কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: ভাদ্রের সীমাহীন অস্বস্তি যেন বেড়েই চলেছে। আকাশ কালো করে মেঘ জমলেও বৃষ্টির তেমন পাত্তা নেই। তবে সব হিসেব গোলমাল হয়ে গেল মহালয়ার বিকেলে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বর্ষণে (West Bengal Weather Update) ভিজল দক্ষিণবঙ্গের একাংশ। যার ফলে কলকাতা লাগোয়া জেলার তামপাত্রা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে শুক্রবার সকাল থেকে ভাদ্রের কড়া রৌদ্দুর রাজ্যবাসীর ব্রহ্মতালুকে পুড়িয়ে দিচ্ছে। আকাশজুড়ে চলছে মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি। এতকিছুর মধ্যে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি কমার কোনও নামগন্ধ নেইষ বেলা যত বাড়ছে ঘেমেনেয়ে ততই একসা হচ্ছে বাঙালি। তবে এর মধ্য়েই আশার খবর দিল আলিপুরের হাওয়া অফিস আর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে নয়, এবার রাজ্য লাগোয়া বঙ্গোসাগরেই ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ।

সম্ভবত রবিবারেই প্রবল বৃষ্টিপাতে ভিজতে চলেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। তাই এর প্রভাবে রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির হলুদ সর্তকতা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বিবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা যেমন, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২১ সেপ্টেম্বর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বেশ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২২ তারিখ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নিম্নচাপ সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এই তিনটে দিন রাজ্যে কোথা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত, কোথাও আবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আরও পড়ুন- Air India: বিমানে চড়েছেন ২ করোনা রোগী, ১৫ দিনের জন্য বাতিল ভারত-দুবাই উড়ান পরিষেবা

তবে রাজ্যজুড়ে সোমবার ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা প্রবল। বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে হাওয়া অফিস। যদিও ভারী বৃষ্টি না হলেও বিক্ষিপ্ত জায়গায় রাজ্য জুড়ে মাঝারি বৃষ্টিপাত ইতোমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তবে নিম্নচাপের জেরে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি নামবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। তবে ভারী বৃষ্টি হবে শুধুই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরে এই বৃষ্টি বলে জানা গিয়েছে। এর জেরে দেবীপক্ষে দক্ষিবঙ্গের মানুষ বাতাসের আদ্রতাজনিত অস্বস্তি থেকে সাময়িক মুক্তি পাবে।