কলকাতা, ৩ ডিসেম্বর: ফের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC)নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Chief Minister Mamata Banerjee)। সোজাসুজি নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, “পশ্চিমবঙ্গ এনআরসি করণের অনুমতি দেবে না। এটা কখনওই পশ্চিমবঙ্গে ঘটবে না। তারপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে জোর করে মানুষের উপরে এনআরসি চাপানো যাবে না।” কয়েকদিন আগেই রাজ্যের তিনি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েচে। ৩-০ তে এগিয়ে থাকার আশা নিয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। তবে মাস ছয়েক আগের জয়কে অতীত করে পদ্ম শিবিরকে এবার খালি হাতেই ফেরাল বাংলা। হেরে যাওয়ার কারণ হিসেবে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপির আলগা অভিযোগ আনেন রাহুল সিনহা।
তবে জেতার নেশায় আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ, তিন কেন্দ্রের সবুজ ঝড় দেখে প্রথমে খানিকটা হকচকিয়ে যান। তারপর বেশ নিরাশ গলায় জানান, তিনি তো রাজনীতি করার মানুষই নন। দল যদি চায় তাহলে যেকোনও সময় পদত্যাগ করতে তৈরি আছেন। এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ বেশ বুঝেছিলেন এনআরসি নিয়ে তাঁর নরম গরম বক্তব্যতেই বেজায় চটেছে মানুষ। ছয় মাসের ব্যবধানে পদ্মফুলকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। এদিকে দিলীপ ঘোষের তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তবে তিনি মানুন আর না মানুন বাংলার মানুষ কিন্তু এনআরসি-র বিপক্ষে ভোটটা দিয়েই ফেলেছে। বিজেপি যদি এখনই শুধরে না যায় তাহলে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে গেরুয়া সিবিরের ভরাডুবি কেউ আটকাতে পারছে না। আরও পড়ুন-West Bengal Winter Update: এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নামল ৩ ডিগ্রিতে, ডিসেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে হঠাৎ শীতের আমেজ
West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee: We will not allow National Register of Citizens (NRC), it will never happen in West Bengal. You cannot implement NRC on the basis of caste and religion. (file pic) pic.twitter.com/N9H1LpyVkd
— ANI (@ANI) December 3, 2019
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন দখল করার পর বাংলায় গোড়া ছোটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন দিলীপবাবু। মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সংর্থকদের ভাঙিয়ে দলভারীর কাজ চলছিল পুরোদমে। বিধায়কদেরও ভাঙানো হচ্ছিল। তবে প্রশান্ত কিশোরকে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে নিযোগ করে পদ্মশিবিরের সেই চালকে একেবারে উল্টে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এককথায় হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিলেন বঙ্গবিজেপিকে। কিছুদিন আগে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এনআরসি করে দু কোটি বাঙালিকে রাজ্য ছাড়া করবনে। আর বাঙালিই তাঁকে কি না শূন্য আসন দেখিয়ে দিল!