Photo Credits: IANS

কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিং (Brij Bhushan Sharan Singh)-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দিল্লির যন্তরমন্তরে প্রতিবাদে বসেছেন দেশের তারকা কুস্তিগিররা। অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, বজরঙ পুনিয়া সহ ববিতা ফোগাতরা ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করে আন্দোলন করছেন। সাক্ষী, ববিতাদের সেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, " আমদের সবার আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। ওরা সবাই একই স্বরে কথা বলছে। আমাদের ক্রীড়াবিদরা আমাদের দেশের গর্ব। ওরা হল চ্যাম্পিয়ন। কোনওরকম রাজনৈতিক রঙ না দেখেই দোষীকে শাস্তি দেওয়া হোক। সত্যির অবশ্যই জেতা উচিত। ন্যায় বিচারের জয় হোক।"

দেখুন মমতার টুইট

সাক্ষীদের নিয়ে আইওসি সভাপতি পিটি ঊষার কটাক্ষের পর আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন দেশের একের পর এক ক্রীড়াবিদ। কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আন্দোলনরত দেশের কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন ভারতের প্রাক্তন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। এর আগে অলিম্পিক সোনাজয়ী অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া সমর্থন জানান সাক্ষী মালিক, ববিতা ফোগাত, বজরঙ পুনিয়াদের আন্দোলনকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার কপিল দেব, হরভজন সিংও দেশের আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সানিয়া মির্জা এই নিয়ে লিখলেন, " একজন অ্য়াথলিট হিসেবে, বিশেষ করে একজন মহিলা হয়ে ওদের আন্দোলনের ছবিগুলো দেখে কষ্ট হচ্ছে। ওঁরা আমাদের দেশকে অনেক সম্মান, পুরস্কার এনে দিয়েছে এবং আমরা সেটা ওদের সঙ্গে সেলিব্রেট করেছি। যদি আমরা ওদের সঙ্গে তখন আনন্দ ভাগ করে নিই, তাহলে আমাদের উচিত এই কঠিন সময়ে ওদের পাশে দাঁড়ানোর। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয় এবং গুরুতর অভিযোগ। আমি আশা করি খুব দ্রুত সত্য়ি সামনে আসবে, আর সত্যি এখানে ন্যায় বিচার পাবে।"

সানিয়ার টুইট

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে টোকিও অলিম্পিক্সে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জয়ী নীরজ চোপড়া লিখলেন, আমাদের দেশের অ্যাথলিটরা ন্যায়ের দাবিতে রাস্তায় নামতে হয়েছে, এটা দেখে আমি আঘাত পেয়েছি। তাঁরা কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং আমাদের গর্বিত করেছেন। দেশে হিসেবে আমাদের কর্তব্য প্রতিটি মানুষ, অ্যাথলিট বা অন্য যে কারও সততা ও সম্মান সুরক্ষিত করা। যেটা হচ্ছে সেটা কখনই হওয়া উচিত হয়নি। এটা স্পর্শকাতর ইস্যু, এবং অবশ্য সেটা নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবশ্য ন্যায়দান নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।"