Accident Representative Photo

বাঁকুড়ার সারেঙ্গায় পাঁচ বছর আগে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার স্মৃতি উসকে দিয়ে মঙ্গলবার ফের একই ছবি দেখা গেল বীরভূম-বর্ধমান সীমান্তবর্তী পাণ্ডবেশ্বরে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলের একটি রিজার্ভার (Water Reservoir Collapses)। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় দু’জন কিশোর। অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায়ই ঘটেছে বিপত্তি। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

ঘটনাটি ঘটেছে । এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলসংকট থাকায় সম্প্রতি ইসিএল (ECL) কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ২০ হাজার কিউবিক লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি রিজার্ভার। নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা। স্থানীয়দের দাবি, ১০ দিন আগেই শেষ হয় নির্মাণকাজ। সোমবার প্রথমবার জল ভরার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই রিজার্ভারটির একদিক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে।দুর্ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসিএলের (Eastern Coalfields Limited) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে কয়লা পরিবহণকারী গাড়ি আটকে দেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনার সময় রিজার্ভারের কাছেই স্নান করছিল দুই কিশোর। বিকট শব্দ শুনে তারা সরে আসতে না পারলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। “ভেতর থেকে হঠাৎ আওয়াজ আসতে থাকে, তারপর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ধস,” জানায় কিশোর বুধো বাউড়ি।

উল্লেখ্য, এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাঁকুড়ার সারেঙ্গার ফতেডাঙায় জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়েছিল। ২০২৩ সালে ওন্দার চূড়ামণিপুর ও বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ধসে প্রাণ গিয়েছিল তিনজনের। ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এদিনের ঘটনায় কোনও মন্তব্য করেনি।