Kolkata: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'বহিরাগত' তকমা, ক্ষোভের মুখে ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Photo: Facebook)

শান্তিনিকেতন, ১২ সেপ্টেম্বর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে 'বহিরাগত' বলায় ক্ষোভের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। যদিও তাঁর দাবি, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৫১ সালে আর তা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ পায়। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে কয়েকদিন আগে গণ্ডগোল হয়। ২৩ অগাস্ট বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বাইরে থেকে বোলপুরে এসেছিলেন। উপাচার্যর 'বহিরাগত' রেফারেন্সটি স্পষ্টতই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে ছিল। কারণ পাঁচিল দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে বলেছিলেন, "পৌষ মেলা মাঠে পাঁচিল নির্মাণের সময় বাইরের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন, এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রকৃতির কোলে শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য নয়।"

বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একটি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, "যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলায় যদি কারও অনুভূতিতে আঘাত পেয়ে থাকে তবে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। আমি গভীর দুঃখিত। হ্যাঁ, তাঁরা শান্তিনিকেতনের সঙ্গে জড়িত। আর আমি এর আগে আর কিছুই বোঝাতে চাইনি।" আরও পড়ুন: Coronavirus In West Bengal: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৩,১৫৭, মৃত্যু ৫৭ জনের

উপাচার্যের বহিরাগত শব্দের তীব্র আপত্তি জানান আশ্রমিক, বিগত ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ। এই বিষয়য়ে বিদ্যুৎবাবু বলেন, "তবে যদি আমার পুরো বক্তব্যটি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করেন, আপনি দেখতে পাবেন যে আমি একটি ঐতিহাসিক এবং ভৌগলিক সত্যকে উল্লেখ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং (তাঁর বাবা) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বহু বছর আগে একবার এই জায়গায় এসেছিলেনন। তারা এটি পছন্দ করেছিলেন এবং তারপরই শান্তিনিকেতন গড়ে ওঠে।"

পৌষ মেলার মাঠে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে বলে আগে অভিযোগ করেছিলেন উপাচার্য। সেই দাবিতেই তিনি এখনও অনড়। তাঁর বক্তব্য, "আমরা চাই সত্য প্রকাশিত হোক। আমরা একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।"

পৌষমেলার মাঠে দেওয়ার দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত ১৭ অগাস্ট। দেওয়াল দিতে বাধা দেওয়া হয়। দেওয়াল দেওয়ার জিনিসপত্র লুট করা হয়। তৃণমূল বিধায়ক এবং স্থানীয় নেতারা গণ্ডগোলের পিছনে রয়েছে অভিযোগ করে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর তরফে। বিদ্যুৎবাবুর আরও অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি শাকসবজি কিনতে ক্যাম্পাসের বাইরে গেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তখন মোটরবাইকে করে আসা অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভিসি বা তাঁর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।