বোলপুর, ১৮ অগস্ট: সোমবার বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) পৌষ মেলার মাঠ জুড়ে তাণ্ডবের পর পড়ে রয়েছে তার চিহ্ন। পড়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী, ভাঙা যন্ত্রপাতি। সকাল থেকে সেইসমস্ত জিনিস সরিয়ে নিচ্ছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।। অধিকাংশ সামগ্রীই লুঠ হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি মিক্সিং যন্ত্র অকেজো করে দেওয়ার অভিযোগ করছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। গতকালের ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন বলে দাবি। অন্যদিকে, গতকাল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থানে বসে এসএফআই। তবে রাতে অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।
১৭ অগস্ট পৌষমেলার (Poush Mela) মাঠে পাঁচিল তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাঁধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টানতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, 'নিরাপত্তা মজবুত করার জন্য বিশ্বভারতী চত্বরে ফেন্সিং তৈরি করা হচ্ছে। এতে কারওর কোনও সমস্যা হবে না।' গত পরশুদিন থেকে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে রাখার জন্য পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
আরও পড়ুন, একদিনে সর্বাধিক সংক্রমণ, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা রোগী ৩ হাজার ৮০ জন
সেই প্রতিবাদেই শান্তিনিকেতন-বোলপুর থেকে কমবেশি হাজার খানেক লোক এসে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। গোটা ঘটনাটির চরম প্রতিবাদ জানান তারা। পাঁচিল তৈরির জন্য যেকটি ইট গাঁথা হয়েছিল। সেই সবকটিই ভেঙে ফেলা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একটি গেটও। অস্থায়ী ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হাজির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা তৃণমূল বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরি, বোলপুর পুরসভার অন্যতম প্রশাসক সুকান্ত হাজরা ও শাসকদলের অন্যান্য।