শ্যামল চক্রবর্তী(Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ৬ আগস্ট: প্রয়াত বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী ( Shayamal Chakraborty)। সব লড়াই শেষ করে মারণ ভাইরাসের কাছে হার স্বীকার করলেন ছয়ের দশকের ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা। বৃহস্পতিবার বেলা ১.৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন সিটু নেতা। মাঝে কিছুদিন হাসপাতালে কাটিয়ে ফের সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, সঙ্গে যোগ হয় ফুসফুসের সংক্রমণ। এই অসুস্থতা নিয়ে গত সপ্তাহে উল্টোডাঙার নর্থ সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন শ্যামল চক্রবর্তী। পরে রিপোর্টে করোনাভাইরাস পজিটিভ এলে তাঁকে বাইপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এই কয়েকটা দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।

বাবার অসুস্থতার খবর জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন টলি অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। বামনেতারাও শ্যামল চক্রবর্তীর অসুস্থতা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। সংক্রমণ এড়াতে আলিমুদ্দিনে অবারিত প্রবেশেও রাশ টানার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল। এর মাঝে একদিন শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে প্রবীণ নেতাকে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে ফের অবস্থার অবনতি ঘটলে, পুনরায় ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার অর্থাৎ গতকাল উষসী চক্রব্রর্তীকে ফোন করে চিকিৎসাধীন বামনেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। অভিনেত্রী পরে বাবার শারীরিক পরিস্থিতি আপডেট নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজখবরের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন উষসী। বুধবার রাত থেকে শ্যামল চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার মিনিট পাঁচেক আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কমরেড শ্যামল চক্রবর্তী।

মহামারীর দাপটে বাংলার রাজনৈতিক মঞ্চ একটু একটু করে খালি হচ্ছে। গত সপ্তাহেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেছেন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই চলে গেলেন বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বামনেতা শ্যামল চক্রবর্তী। আলিমুদ্দিনে শোকের ছায়া নেমেছে।