বৃহস্পতিবার শাসক-বিরোধী উত্তেজনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। কার্যত বিজেপি বিধায়কদের মার্শালরা কক্ষ থেকে তুলে এনে বাইরে বের করে দেয়। যা বঙ্গ রাজনীতিতে কার্যত বিরল ঘটনা। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষরা। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি আজকের ঘটনাকে গণতন্ত্র হত্যা বলে কটাক্ষ করেছেন। পাল্টা এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি বিজেপি বিধায়কদের আচরণের কড়া নিন্দা করেছেন।

কটাক্ষ করেছেন গিরিরাজ সিং

এই ঘটনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বলেছেন, “গণতন্ত্রের ওপর কোনও বিশ্বাস নেই বাংলার সরকারের। বাংলার বিধানসভায় আজ গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এই রাজ্যেই এক সময় পঞ্চায়েত ভোটে ফলাফল প্রকাশের দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিরোধী প্রতিনিধিকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। এরা কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না। এটা সন্ত্রাস ছড়ানোর সরকার, এটা হিন্দু-বিরোধী সরকার। এরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য বাংলার রাস্তায় কার্পেট বিছিয়ে রাখে”।

দেখুন গিরিরাজ সিংয়ের বক্তব্য

বিধানসভায় তুমুল হই-হট্টোগোল

এদিন বাংলা ও বাঙালি প্রসঙ্গে আলোচনা নিয়ে উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় বিজেপি বিধায়করা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। তাঁদের মুখে শোনা যায় ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর-তৃণমূলের সবাই চোর’। এই শ্লোগান শুনেই রেগে যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও পাল্টা বলে দেন ‘ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর-বিজেপি সবথেকে বড় চোর’। এরপরেই বিধানসভায় তুমুল হই হট্টোগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা ওয়ালে নেমে প্রতিবাদ করেন। এরমধ্যেই শঙ্কর ঘোষ, বঙ্কিম ঘোষ, অশোক দিন্দাদের সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেও তাঁরা না সরলে মার্শালরা বিধায়কদের তুলে নিয়ে বাইরে বের করে দেয়।