দেগঙ্গার পর এবার সল্টলেক (Salt Lake)। বৃদ্ধা মহিলাকে একা পেয়ে সোনা গয়না, টাকা পয়সা লুট করে পালালো দুই  যুবক। যার মধ্যে একজন তাঁর পূর্বপরিচিত ছিল বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের পূর্বাচল এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই প্রৌঢ়া বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ছায়া সেনগুপ্তের (৭১) গত মাসেই স্বামী মারা গিয়েছিলেন। জানা যাচ্ছে, তাঁর স্বামীর কাজ করার জন্য শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় নামে এক যুবক। কিন্তু কিছু টাকা নয়ছয় করার কারণে তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। মহিলার অনুমান, সেই রাগেই এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, বাড়িতে ইন্টারনেট কানেকশনে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে ফোন করে লোক ডেকেছিলেন সে। সেই অনুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ যুবকটি আসে। আর সেই সঙ্গে শুভঙ্কর নামে ওই ছেলেটিও বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। পরিচিত ছিল বসে ছায়াদেবী তাঁকে বাধা দেননি। এরপর তাঁরা বলে যে শোয়ার ঘরে গিয়ে কানেকশন ঠিক করতে হবে। সেখানে যেতেই পেছন থেকে ধাক্কা দেয় তাঁরা। হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলে তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করে এক যুবক। ঘটনার সময় দুজনের মুখেই মাস্ক ছিল বলে কাউকে চিনতে পারেননি ওই মহিলা।

এদের মধ্যে এক যুবক হাতে ইনঞ্জেকশন ফুটিয়ে দেয়। তারপরেই ঘটনাস্থলে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সে। আর সেই সুযোগে মহিলা গলা ও হাত থেকে গয়না, এছাড়া আলমারি খুলে একাধিক গয়না ও প্রায় নগদ ৩ লক্ষ টাকা লুট করে পালায় তাঁরা। যাওয়ার সময় বাড়ির সদর দরজা সামনে থেকে তালা দিয়ে ঘরের মধ্যে চাবি ছুড়ে পালায় তাঁরা। মহিলার যখন জ্ঞান ফেরে তখনই থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শুরু করে তদন্ত। ইতিমধ্যেই শুভঙ্কর নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।