
টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল দুই নাবালক। সেই সময় রাস্তায় কয়েকটি পায়রা দেখে তাঁদের ধরতে যায়। তবে কোনও পায়রাই হাতে না আসায় বাড়িতে ফিরে যায় তাঁরা। এদিকে পায়রার মালিক চড়াও হয় নাবালকদের বাড়িতে। তাঁদের কথার জালে ফাঁসিয়ে বাড়ি থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করে দুজন। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের (Canning) জীবনতলায় ছাঁটুইপাড়ায়। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে নাবালকদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সম্পর্কে আবার বাবা ও ছেলে।
পায়রা চুরির অপবাদে মারধর
জানা যাচ্ছে, শনিবার বিকেলে সপ্তম শ্রেণীর দুই ছাত্র টিউশন পড়ে আদর্শপল্লী হয়ে ফিরছিল। সেই সময় রাস্তায় কয়েকটি পায়রা ঘুরতে দেখে। তাঁদের ধরার জন্য ছুটে গেলে পায়রাগুলি উড়ে যায়। তারপরে আর বিশেষ মাথা না ঘামিয়ে বাড়ি চলে যায় দুজনে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি জীবনতলা থানা এলাকার বাঁশড়া পঞ্চায়েতের পিয়ালি ছাঁটুইপাড়া এলাকায়। প্রথমে তাঁর বাড়িতে হাজির হয় অভিযুক্তরা। এদিকে দুই পড়ুয়ার বাড়িতেই সেদিন কেউ ছিলেন না। তাই তাঁদের জোড় করে তুলে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতরা
এলাকা থেকে কিছুটা দূরে একটি নারকেল গাছে দুই ছাত্রকে বাধে তাঁরা। তারপর পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশ। আক্রান্তদের উদ্ধার করে প্রথমে ঘুটিয়ারি শরিফ ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে রবিবার সকালেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।