কলকাতা, ২৭ অগাস্ট: সীমান্তবর্তী গ্রামের এক যুবতীকে গণধর্ষণের (Gangape) অভিযোগে দুই বিএসএফ কর্মীকে (BSF Personnel) গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা (Bagda) থেকে ওই বিএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের একজনের নাম এসপি চেরো (S.P. Chero), সে এএসআই। অন্যজন কনস্টেবল আতলাভ হোসেন (Atlaf Hossain)। তারা দুজনেই বাগদার জিতপুর এলাকায় বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিল। শনিবার ধৃতদের জেলা আদালতে হাজির করা হবে।
বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার (Tarun Haldar) জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জিতপুর সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে একটি জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। হালদার বলেন, "দুই অভিযুক্ত ২৩ বছরের এক যুবতীকে লাউ খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর যুবতীকে অজ্ঞান অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।" তিনি আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে বিএসএফ-র দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। আরও পড়ুন: West Bengal SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক মধ্যস্থতাকারীকে গ্রেফতার করল সিবিআই
জিতপুর সীমান্তের কাছে যুবতী কেন গিয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে যে যুবতী সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলেন, সেই সময় দুই বিএসএফ কর্মী তাঁকে দেখতে পেয়ে যান। বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কার্যালয়কেও এই ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
#Breaking:Two #BSF South Bengal Frontier personnel (one ASI & one constable) arrested by #WestBengal Police for allegedly raping a woman near Indo-Bangla border in Bongaon. BSF conducted initial enquiry & suspended both personnel. Later, they were handed over to the police. pic.twitter.com/DrsD4AEjd9
— Pooja Mehta (@pooja_news) August 26, 2022
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতির কচকচানি শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়া দুই বিএসএফ কর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "যদি সত্য হয়, এটি সম্পূর্ণ লজ্জার বিষয়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে যে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে নিযুক্ত সেনা কর্মীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়।" পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় বলেছেন যে ঢেউয়ের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটার হাস্যকর চেষ্টা করা দিলীপ ঘোষের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, "এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নারীর ধর্ষণ তাঁকে প্রভাবিত করে না এবং তিনি পরোক্ষভাবে অভিযুক্তকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।"