ফের এই রাজ্য থেকে গ্রেফতার দুই বাংলাদেশি। শনিবার রাতে বারাসতের দত্তপুকুর (Dattapukur) থানা এলাকার বামনগাছি থেকে গ্রেফতার হয় দুই অনুপ্রবেশকারী। তাঁদের জাল নথিপত্র দেখে তাজ্জব বনে যায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃত ব্যক্তির আসল নাম নরুল ইসলাম, এদেশে এসে পোশাকের মতো নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় নারায়ণ অধিকারী। আর তাঁর বাবা গিয়াস মিঞার নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান নগেন অধিকারী। বছর তিন সাড়ে তিনেক আগে এদেশে এসে জাল আধার কার্ড. প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বানিয়ে দিব্যি এদেশে এসে থাকছিলেন, খাচ্ছিলেন।
ভুয়ো নথিপত্র উদ্ধার
তবে সম্প্রতি এদেশে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। আর এই নিয়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সম্প্রতি বারাসত থেকে ৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়, যারা ভুয়ো নথিপত্র বানানোর কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর তারপরেই এই দুই ব্যক্তি ও তাঁরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিক রফিকুলের ওপর নজরদারি রাখে পুলিশ। দক্ষিণ কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এই রফিকুল আবার বছর ২০ আগেই এদেশের লুকিয়ে এসেছিলেন। প্রথমে দত্তপুকুরে ভাড়া থাকতেন। পরে কাজিপাড়ায় বাড়ি কিনে থাকতে শুরু করেন।
অটোচালকের হাতে আইফোন
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই তিনজনের গতিবিধিই ছিল সন্দেহজনক। রফিকুল পেশায় একজন অটোচালক, তাঁর হাতে আচমকা আইফোন চলে আসায় অনেকের সন্দেহ হয়। বিষয়টি পুলিশের নজরেও আসে। তারপরেই তাঁকে আগে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীকালে নুরুল এবং তাঁর বাবাকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, এরা তিনজনেই বাংলাদেশ থেকে দালালের মারফত লোক জোগাড় করে মোটা টাকার বিনিময়ে এদেশে চোরাপথে নিয়ে আসত।