তৃণমূলে যোগ রাজেশ লাকড়ার। Photo Source: Facebook

কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর: ১৯-র লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ নিজেদের দখলে রাখে বিজেপি। ৮টি আসনের মধ্যে ৭টি আসনেই জয়ের মুখ দেখে বিজেপি। এরপর ২১-র লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে নিজেদের ভিত ধাপে ধাপে শক্ত করছিল তৃণমূল কংগ্রস। যার ফল মিলল হাতেনাতে। সোমবার বিজেপিকে জোরাল ধাক্কা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার। আলিপুরদুয়ারের দায়িত্বে থাকা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত ব্যানার্জি এবং রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান নেতা মলয় ঘটকের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিলেন টাইগার।

২০১৯-র লোকসভা ভোটে বিজেপির জেতার পিছনে মূল হাতিয়ার ছিল গোর্খা, নেপালি এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোট। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং আসন দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও নিজেদের আসন শক্তিশালী করতে উঠে পড়ে লাগে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ফলস্বরূপ কিছু মাস আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে হাত মিলিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। তৃণমূলে ফিরেই দীর্ঘ কয়েকবছরের (কমবেশি ৩ বছর) বিরতি কাটিয়ে পাহাড়ে সভা করেন বিমল গুরুং। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন টাইগার। এর জেরে উত্তরবঙ্গে আদিবাসী ভোটে জোরাল ধাক্কা খাবে বিজেপি। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

বাম জমানার শেষ দিক থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন রাজেশ। ডুয়ার্সে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন তিনিই। ডুয়ার্সের চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব হয়েছেন তিনি। এরজন্যই পাহাড়ে তিনি পরিচিত টি-টাইগার হিসেবেও। রাজেশের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্য়ানার্জি আদিবাসীদের জন্য বরাবরই সরব হয়েছেন। চা শ্রমিকদের জন্য বাড়ি তৈরির নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। দৈনিক মজুরি বাড়িয়েছেন। এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করেননি। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের কথা ভেবেই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার।