কলকাতা, ৩০ আগস্ট: Government Will Table Mob Lynching Bill: আজ শুক্রবার বিধানসভায় (Assembly) আসছে গণপ্রহার প্রতিরোধকারী বিল (The West Bengal Prevention Of Lynching Bill 2019)। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলেছে গণপ্রহার। তা রোখার জন্য নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। জেল পুলিশ সুপার (Police Super) ও কমিশনারেটগুলিতে (commissionerate) এমন সমস্যা মোকাবিলার জন্য পৃথক নোডাল অফিসার (Nodal Officer) তৈরী করা হচ্ছে রাজ্যে।
প্রতিটি জেলায় পুলিশ কমিশনারেট ও পুলিশ সুপারের টাস্কফোর্স Taskforce) তৈরী করা হচ্ছে। গণপ্রহার কিংবা গণপ্রহারে উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটছে কিনা সেই প্রবণতা রোখার জন্য রাজ্য স্তরে ডিজি, পুলিশ কমিশনারেট কমিশনার ও জেলায় পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনারা গণপ্রহার রোখার পাশাপাশি অপরাধীদের শাস্তিপ্রদান করবে। আরও পড়ুন, লেকটাউনে হামলা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ- র ওপর, বিজেপি- তৃণমূল দ্বন্দ্ব দক্ষিণদাঁড়িতে
সম্প্রতি কলকাতার কালীঘাট (Kalighat) ও কাশিপুরে (Cossipore) গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছিল। সেই কারণেই নবান্নে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রশাসন। প্রসঙ্গত, বিলে বলা হয়েছে, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, রাজনৈতিক বিশ্বাস, যৌনরুচি, জাতিসত্তা বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক দুই বা তার বেশিসংখ্যক ব্যক্তি কারো প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করলে বা প্ররোচনা দিলে তাকে 'গণপ্রহার' বলে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি ছাপার অক্ষরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত, উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করা হবে। অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও শাস্তিপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে সাক্ষীরা তাদের পরিচয় চাইলে গোপন রাখতে পারেন এই বিষয়টিও বিলে থাকছে।
গণপ্রহারের জেরে কেউ গুরুতর আহত হলে যে দোষী প্রমাণিত হবে তাকে ৩ লাখ টাকা ও যাবজ্জীবন কারাবাস হবে। গণপ্রহারে কারো মৃত্যু হলে দোষীর সারা জীবনের জেল ও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। রাজস্থানে অশোক গেয়েলট (Ashok Gehlot) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গণপ্রহার আটকাতে কড়া আইন নিয়ে আসেন। সূত্রের খবর, সেই আইনের সবটাই রাজ্যের এই বিলে প্রস্তাব রয়েছে।