100 Days Work: ১০০ দিনের টাকায় দিল্লিতে বড় আন্দোলনে কোমর বেঁধে প্রস্তুতিতে নামল তৃণমূল, রামলীলায় তাঁবু খাটানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি ডেরেকের
Mamata Banerjee (Photo Credit: ANI/Twitter)

নতুন দিল্লি, ১৬ সেপ্টেম্বর; ১০০ দিনের কাজ ( MGNREGA) সহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না অভিযোগ করে বহুবার নানা মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই ইস্যুতে চিঠি লেখেন, মুখোমুখি দেখা করেন মমতা। কেন্দ্রের কাছে বকেয়া টাকার দাবিতে কলকাতায় ধরনাতেও বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও কিছু না হওয়ায় গত ২১ জুলাই দলের শহীদ দিবসের সভায় মমতা ঘোষণা করেন, আগামী ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীতে দিল্লিতে এই ইস্যুতে তৃণমূলের বড় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থাকবেন তিনি। দেশের রাজধানীর বুকে ১০০ দিনের টাকা নিয়ে আন্দোলন-ধরনা কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল।

দিল্লির দারয়া গঞ্জের ডিএসপি-কে চিঠি লিখে দিল্লির রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সরকারীভাবে অনমুতি চাইল। তৃণমূলের প্যাডে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েব  সেই চিঠিতে লিখলেন, " আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির রাম লীলা ময়দানে রাতে থাকার জন্য অস্থায়ী তাঁবু খাটানোর অনুমতি দেওয়া হোক। বাংলার ৫০ হাজারা নারেগা ( MGNREGA) শ্রমিক/কর্মীরা দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দেবেন তাই তাঁদের থাকার জায়গার জন্যই রাম লীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর বিশেষ প্রয়োজন।" আরও পড়ুন-সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে টাকা আদায়, কলকাতা পুলিশের খপ্পরে দুই প্রতারক

দেখুন টুইট

১০০ দিনের টাকা আদায়ে দিল্লিতে তৃণমূলের এই ধরণায় নেতৃত্ব দিতে পারেন সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সব সাংসদের পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার বিধায়ক, জেলা সভাপতি, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা নারেগা শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লিতে ধরনা দেবেন।

তৃণমূলের দাবি, রাজ্যে ২০ লক্ষ পরিবার কাজ করে প্রাপ্য টাকা পায়নি। ১০০ দিনের কাজে মোট ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া আছে! একশো দিনের টাকা ইস্যুতে এক কোটি মানুষের সই সংগ্রহ করে দিল্লিতে ধরনায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি, গায়ের জোরে টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। একমাত্র বাংলার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাংলায় নির্বাচনে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপির দাবি, বাংলায় ১০০ দিনের কাজে বড় দুর্নীতি ও অনিয়ম হওয়ায় রাজ্য সরকার সঠিক হিসেব না দেওয়া পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। তবে এতে যে বাংলার সাধারণ মানুষ বড় সমস্যায় পড়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।