উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারে ৫জনকে নিশৃংসভাবে খুন কাণ্ডের তদন্তে প্রশাসনিক গাফলতি নিয়ে ঝাঁপল তৃণমূল। রবিবার প্রয়াগরাজে দলীয় প্রতিনিধিদের সত্য অনুসন্ধান রিপোর্ট পেয়ে এই কাণ্ডে এফআইআর নিয়ে প্রশ্ন তুলল বাংলার শাসক দল। তৃণমূলের অভিযোগ, খুন হওয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই কাণ্ডে বড় অভিযোগ করলেও তার উল্লেখ পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে FIR-এ করেনি।
মানবাধিকার কমিশনকে উদ্দেশ্য করা তৃণমূলের চিঠিতে লেখা হয়েছে, ' উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিসের FIR চরম গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন, তাদের অধিকাংশই ইচ্ছাকৃতভাবে FIR থেকে বাদ দিয়েছে পুলিস। সুনীলের স্ত্রী ও বোনের বিবস্ত্র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অনুমান, ওই দু’জনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এই ধর্ষণের বিষয়টিরও FIR-এ উল্লেখ নেই। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়টি বারবার উল্লেখ করা হলেও পুলিস তা এফআইআরে রাখেনি। আরও পড়ুন:
কালিয়াচক বিস্ফোরণের তদন্ত করুক NIA, কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন আইনজীবীর
দেখুন সেই চিঠি
Our leaders wrote to the @India_NHRC seeking an urgent appointment regarding the #Prayagraj incident.
Family members of the victims had flagged several gruesome details to Prayagraj police, which were missing in the FIR. Such details must not be ignored!
WE DEMAND JUSTICE. pic.twitter.com/1siMnqbyC6
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 26, 2022
এমন ধরনের বিষয়গুলো এফআরএ উল্লেখ না করে যোগী রাজ্যের পুলিশ অন্যায় করেছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। প্রয়াগরাজ কাণ্ডে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও লেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
গত সপ্তাহে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে প্রয়াগরাজে একই পরিবারের ৫ জন খুন হন। ২ বছরের শিশুকেও খুন করে দুষ্কৃতীরা। নৃশংসার সেখানেই শেষ হয়নি, খুনের পর আবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে! যোগী সরকারের বিরুদ্ধে এই কাণ্ডের তদন্তে গাফলতি ও ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর প্রয়াগরাজে প্রতিনিধিদল পাঠায় তৃণমূল। 'সত্যানুসন্ধান' করতে দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুরদের উত্তরপ্রদেশে পাঠান মমতা।
বীরভূমের বাগটুই কাণ্ডে বিজেপি যেভাবে সত্য অনুসন্ধান কমিটি গড়ে মমতা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছিল, পদ্ম শিবিরের পাল্টা যোগীরাজ্যে প্রায়গরাজ কাণ্ডে তেমনটা করছে তৃণমূল।