কলকাতা, ৮ অগাস্ট: মুখ্যমন্ত্রীর আসনে থাকতে হলে আগামী ক মাসের মধ্যেই উপনির্বাচনে জিতে আসতেই হবে মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)-কে। ২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Elections 2021) বিজেপি (BJP)-কে ধরাশায়ী করে তৃণমূল কংগ্রেস ঐতিহাসিক জয় পেলেও, নন্দীগ্রাম আসনে অল্পের জন্য বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা। তাই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে মমতাকে এবার উপনির্বাচনে জিততেই হবে। মমতাকে জেতাতে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। কিন্তু সব তৈরি থাকলেও করোনার কারণে উপনির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামলে এবার উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল।
ভবানীপুরে এখনও ভোটের দিন নিয়ে কোনও কথা না হলেও দিদিকে জেতানোর খেলা শুরু করে দিল দল। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার তৈরি স্লোগান 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'-এ একুশের ভোটে তৃণমূলের দুরন্ত জয় আসার পর, এবার নতুন স্লোগান, 'উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে'।
এই স্লোগানটি তৈরি করেছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনী। জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক ব্যানার্জি জানালেন, "ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে তো দিদি। তাই এখানকার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অতি উৎসাহী হয়ে স্লোগান তৈরি করেছেন। এই স্লোগান দিয়েই উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করেছি।"ছোট ছোট হোর্ডিং তৈরি করেও ভবানীপুর এলাকা জুড়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ঐতিহাসিক সাফল্য পেলেও নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Baneree)। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে মমতাকে কোনও আসন থেকে উপনির্বাচনে জিততে আসতে হবেই। সেই মতই মমতার ঘরের কেন্দ্র ভবানীপুর আসন থেকে জেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। কিন্তু করোনা কালে উপনির্বাচনে সম্ভব না হলেম মতার মুখ্যমন্ত্রী থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। ২০২১ বিধানসভায় বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে প্রায় ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ বিধানসভায় কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি ২৫ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে ভবানীপুরে জিতেছিলেন মমতা। ২০১১ ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিএমের নন্দিনী মুখার্জিকে ৫৪ হাজারের বেশি ব্যবধানে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি মজবুত করেছিলেন মমতা।