বন্যা আসলেই খবরের শিরোনামে চলে আসে ঘাটাল। বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শিলাবতী, চন্দ্রকোনায় জলস্তর বাড়ছে, সেই সঙ্গে জলধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতি শুরু হয়েছে ঘাটালের বিভিন্ন অঞ্চল। এই অবস্থায় ফের আবারও উঠে এল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান (Ghatal Master Plan) প্রসঙ্গ। কবে সম্পন্ন হবে এই প্রকল্পের কাজ, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ দেব। যদিও বলে রাখা ভালো, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ২০২৫ থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান দেরিতে শুরু হওয়ার জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন দেব।
ঘাটাল সাংসদের অভিযোগ
সোশাল মিডিয়ায় দেব লিখেছেন, “বিগত ১০ বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর সপক্ষে সওয়াল করে এসেছি। অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। ২০২৪-এ রাজ্য সরকারই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট (৫00 কোটি) বরাদ্দ করে। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টার প্ল্যান এ ৭৮ কিমি + ৫২ কিমি নদীর ড্রেজিং থেকে শুরু করে বাঁধ, ব্রিজ, খাল কাটা, খালের সংস্করণ, কৃত্রিম নদী তৈরি করা, জমি অধিগ্রহণ সবই আছে। যার সময়সীমা কমপক্ষে ৪-৫ বছর। ঘাটালে বন্যা হওয়ার পর মানুষের অভিমান যথারীতি জনপ্রতিনিধিদের উপরেই হবে। এই দুর্যোগের সময় সরকার এবং প্রশাসন আপনাদের পাশে সব সময় আছে”।
দেখুন পোস্ট
বিগত 10 বছর ধরে লোকসভার সকল অধিবেশনে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর সপক্ষে সওয়াল করে এসেছি । অনেক চেষ্টার পরও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। 2024 রাজ্য সরকার ই সিদ্ধান্ত নেয় এবং এক তৃতীয়াংশ বাজেট ( 500 কোটি) বরাদ্দ করে। ফেব্রুয়ারি 2025 থেকে কাজ শুরু হয়। এই মাস্টার প্ল্যান এ…
— Dev (@idevadhikari) June 22, 2025
পাল্টা দাবি বিজেপির
যদিও তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা ইতিমধ্যেই বিজেপি দিয়েছে। তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এই পোস্টেরই কমেন্টে লিখেছেন, “বিগত ১০ বছর ধরে লোকসভায় কথা বললেই দায় ছেড়ে ফেলা যায় না। কেন্দ্র ২০১৫ সালেই এই প্রকল্পের জন্য গ্রিন সিগনাল দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার দীর্ঘ সময় ধরে কোনও প্রকল্প সংক্রান্ত জমি অধিগ্রহণ সহ বিস্তারিত রিপোর্ট এবং কত টাকা লাগবে, সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দেয়নি। রাজ্যের অসহযোগীতার জন্য গ্রিন সিগনাল পাওয়ার পরেও কাজ শুরু করতে পারেনি কেন্দ্র”।