Photo Credits: IANS

কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher recruitment scam) জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৭ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (TMC MLA Jiban Krishna Saha) গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। তার আগেই অবশ্য দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে সারা দেশের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এরপর থেকে সিবিআই হেফাজতেই ঠাঁই হয়েছে ওই তৃণমূল বিধায়কের। আগামীকাল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তার মেয়াদ।

তার ঠিক আগের দিন শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এখনও যে তিনি দলের প্রতি ভরসা রাখছেন তা উল্লেখ করেন। এপ্রসঙ্গে বলেন, "আমি কোনও অন্যায় করিনি। তাই দুর্যোগের (moment of crisis) এই সময়ে দলের নেতৃত্ব (party leadership) আমার পাশেই থাকবে বলে বিশ্বাস (confident) করি।"

তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত নয় বলে দাবি করে আরও বলেন, "এখনও পর্যন্ত কী আমি জড়িত রয়েছি তা প্রমাণিত হয়েছে? আগে অভিযোগ প্রমাণিত হোক তারপর এই বিষয়ে কথা বলা যাবে।"

দীর্ঘক্ষণ জেরার পর গত ১৭ এপ্রিল ভোরে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআইয়ের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই জীবনকৃষ্ণ শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় শিক্ষক নিয়োগের জাল বিস্তার করেছিলেন বলেও অভিযোগ। শুধু শিক্ষক নিয়োগই নয়, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শংসাপত্রের পাশাপাশি ভুয়ো শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিও ব্যবস্থা করতেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। আরও পড়ুন: HC on Promise Of Marriage After Divorce: ডিভোর্সের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক প্রতারণা নয়, বলল কলকাতা হাইকোর্ট