কসবায় ল’ কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় (Kasba Rape Case) লেগেছে রাজনীতির রং। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ওই কলেজেরই প্রাক্তনী এবং অস্থায়ী একজন কর্মী। অভিযোগ উঠছে, শাসক দলের যুবনেতা হওয়ার সুবাদে নাকি গর্ভনিং বডির সুপারিশে মনোজিৎ চাকরি পেয়েছিল। তৃণমূলের ছাত্র পরিষদ করার পাশাপাশি মনোজিৎ নাকি ওই কলেজের ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিল। কিন্তু তারপর পাশ করার পরেও সে কলেজ থাকার জন্য অস্থায়ী কর্মীর চাকরিতে যোগ দেয়। ফলে কলেজের মধ্যে মনোজিৎ যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিল। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিনই স্পষ্ট করে দেওয়া হয় অভিযুক্ত মনোজিতের সঙ্গে বর্তমানে দলের কোনও যোগাযোগ নেই এবং কলেজ ইউনিয়নেও নাকি তাঁর যোগ ছিল না।

কসবার ঘটনা নিয়ে শশী পাঁজার প্রতিক্রিয়া

শুক্রবার শশী পাঁজা এই প্রসঙ্গে বলেন, বিরোধীরা অভিযোগ করছেন যে ধৃত মূল অভিযুক্তের সঙ্গে নাকি দলের যোগ রয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে স্পষ্ট জানাতে চাই, এখনও কোনও নির্বাচন হয়নি। আর ওই কলেজে ২০২২-এ যে কমিটি তৈরি হয়েছিল, সেই অনুযায়ী কমিটির সদস্য ছিল না অভিযুক্ত। ফলে এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে ভি্ত্তিহীন। এছাড়া তাঁর সঙ্গে যদি কোনও নেতার ছবিও থাকে, তার মানে এটা নয় যে তাঁর সঙ্গে ওই নেতার সম্পর্ক রয়েছে। কারণ এখনকার দিনে অনেকেই নেতানেত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। তবে আমাদের পুলিশ রাজনৈতিক রং, ধর্ম দেখে কাউকে গ্রেফতার করে না। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দেখেই গ্রেফতার করে।

দেখুন শশী পাঁজার মন্তব্য

কসবায় ধর্ষণের ঘটনা

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন সন্ধ্যের দিকে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের একটি রুমের মধ্যে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। টানা তিনঘন্টা ধরে এই ঘটনা ঘটলেও কলেজের কেউ টের পান না। ঘটনার পর অভিযুক্তরা ভিডিয়ো রেকর্ড করে ভয় দেখান নির্যাতিতাকে। কিন্তু সে ভয় না পেয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।