ছাত্রভোটের দাবি জানাতে গিয়ে বিক্ষোভ বদলে গেল সংঘর্ষে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ওয়েবকুপাতে যোগ দিতে এসে বাম সংগঠনের সমর্থকদের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu)। কার্যত এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত সেতুতে বিক্ষোভ দেখান যাদবপুরে সাংসদ সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এছাড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক নেতৃত্ব পা মেলান এই জমায়েতে। যদিও অপরদিকে এইট বি-র সামনে সন্ধ্যের দিকে নির্বাচনের দাবিতে ধরনায় বসেছিলেন এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। পরে অবশ্য যানজনটের চাপে সেই ধরনা তুলতে বাধ্য হয় বাম ছাত্র সংগঠন।

তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল

অন্যদিকে তৃণমূলের ধিক্কার মিছিলে ভিড় ছিল কর্মী সমর্থকদের। মিছিলের মাঝে সায়নী বলেন, "শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করতে চাইছেন এরা। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। আমরা এর ধিক্কার জানাতে জমায়েত করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা শান্তি ও সৌজন্যতা চান। আর আমাদের এই সৌজন্যতাকে দুর্বলতা ভেবে নিয়েছে এরা"।

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

প্রসঙ্গত, এদিন সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের দাবি নিয়ে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর ওপর চড়াও হয় এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। তাঁদের বাধা দিতে যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আর সেখান থেকেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হন। যার জেরে অসুস্থ হন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। আহত হয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য ও কয়েকজন পড়ুয়া।