২৬-এর বিঘানসভা নির্বাচনের আগেই বিরোধী শিবিরের একাধিক নেতা যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে। প্রথমে বিজেপির জন বার্লা, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে শঙ্কর মালাকার (Sankar Malakar)। বুধবারই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে এভাবে শাসক দলের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত পদ্ম ও হাত শিবির। যদিও শঙ্কর মালাকারের এই যোগদান নিয়ে খুশির হাওয়া তৃণমূল অন্দরে।
শঙ্কর মালাকারের যোগদান নিয়ে কুণাল ঘোষের মন্তব্য
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, কংগ্রেসের উনি অনেক পুরোনো নেতা। ফলে ওনার অভিজ্ঞতা অনেকের থেকেই বেশি। উনি উত্তরবঙ্গের সাংসদ ছিলেন, দু’বার বিধায়কও হয়েছিলেন। বর্তমানে রাজ্যে কংগ্রেসের যা অবস্থা, তাতে উনি কাজ করতে পারছিলেন না। বাংলার উন্নয়ন ও রাজ্যে বিজেপি বিরোধী অন্যতম শক্তি কেউ থাকে সেটা একমাত্র তৃণমূল। সেই কারণে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
দেথুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য
তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ
প্রসঙ্গত, শঙ্কর মালাকারের তৃণমূলে যোগদানের পর উত্তরে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল কংগ্রেস। এদিকে নির্বাচনের আগে উত্তরবঙ্গে সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই প্রথমে জন বার্লা, পরে শঙ্কর মালাকার যোগদান করিয়ে বিরোধীদের কাছে বার্তা দিয়ে দিল যে ভোটের সলতে পাকাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল।