চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আবার দিতে হবে পরীক্ষা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) নয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দেশজুড়ি আবার শুরু হল আন্দোলন। শুক্রবার সকাল থেকেই নবান্ন অভিযানের জন্য ধর্মতলা, শিয়ালদহে জমায়েত হতে শুরু করেন অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা। কিন্তু সেই জমায়েতে ছত্রভঙ্গ করার জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এরপরেই আন্দোলনকে আরও বড় মাত্রায় নিয়ে যেতে অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দেন প্রতিবাদী শিক্ষকরা। সেই মতো এদিন দুপুরে ফের নবান্ন অভিযানের চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু আবারও পুলিশ বাহিনী সেই জমায়েত আটকে দেয়। আটক করা হয় একাধিক প্রতিবাদীদের।

বৃহত্তর প্রতিবাদের ডাক যোগ্য শিক্ষকদের

এই নিয়ে আগামী রবিবার রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সেখানে তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি এবং আটক হওয়া ১৫০ জনকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাবেন তাঁরা। তবে সেই আন্দোলেনও বাধা দেওয়া হল এবং আটকে থাকা শিক্ষকদের মুক্তি না দিলে আরও বড় পরিসরে আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

দেখুন কুণাল ঘোষের মন্তব্য

যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে মন্তব্য কুণালের

এদিকে এই আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সুপ্রিম কোর্ট ২৬ হাজার শিক্ষকদের নিয়ে যে রায় দিয়েছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তিনি যোগ্য শিক্ষকদের পাশে রয়েছেন, তারপরেও কেন মিছিল, আন্দোলন হচ্ছে, জানা নেই। এসব রাজনৈতিক উস্কানির কারণেই কয়েকজন প্রতিবাদ করছেন বলে মনে হচ্ছে।