হয়েছে মুখ্য অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। গতকাল এই মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকদিন গড়িয়ে গেলেও একজন গ্রেফতার হওয়া ছাড়া আর কাউকে ধরতে পারেননি সিবিআইয়ের দুঁদে অফিসাররা। যদি নিহত চিকিৎসককে গনধর্ষণ করা হয়ে থাকে তাহলে বাকি অভিযুক্তরা কে বা কারা? এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক এই গনধর্ষণের দাবিকে অস্বীকারও করছে না আবার কলকাতা পুলিশের তদন্তে ত্রুটি ছিল সেই অভিযোগও স্বীকার করছে না। রবিবার সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
তাঁর দাবি, কলকাতা পুলিশ তো প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এরপরে তো সিবিআই কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাহলে সিবিআই কেন এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারছে না? সিবিআই কি ধর্ষণ ও খুনের তদন্তের বদলে হাসপাতালের দুর্নীতির তদন্ত কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে? যত দেরি হচ্ছে তত চারদিকে ভুয়ো খবর, রাজনীতি এসব বেড়ে যাচ্ছে। বিতর্ক বন্ধ করতে গেলেে এই তদন্ত দ্রুত সমাধান করা উচিত। এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই করছে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে। ফলে এখনও আমাদের আশা রয়েছে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই আরজি করে এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসক যখন টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করে সেমিনার রুমে বিশ্রাম করতে যায় তখন তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার ওই তরুণীকে খুন করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। তবে পরে অভিযোগ উঠতে থাকে যে চিকিৎসককে গনধর্ষণ করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় হাসপাতালের কেউ বা কারা জড়িত রয়েছে। তবে মৃতার পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত শুরু করলেও এখনও এই ঘটনায় একজনের বেশি কেউ গ্রেফতার হয়নি।