প্রতীকী ছবি (Photo Credits: File Image)

বাগনান, ২৫ জুন: রাতবিরেতে বাড়িতে চড়াও হয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা। বাধা পেয়ে মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার (TMC leader) বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার চাঞ্চল্য ছড়ালো হাওড়ার বাগনানে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তৃণমূল কুশবেরাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাগনান-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রমা বেরার স্বামী। তার সঙ্গে থাকা দ্বিতীয় জন হল বাচ্চু মণ্ডল। সে আবার ওই তরুণীর প্রতিবেশী। এদিকে দুই অভিযুক্ত তরুণীর মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় তিনি সিঁড়িতে গড়িয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেই সেখানেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আমতা মোড়ে মুম্বই রোড অবরোধ করে বিজেপি।

ইতিমধ্যেই  অভিযুক্ত কুশ বেরাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও স্ত্রী রমা দেবীর দাবি, তিনি কিছুই জানেন না। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেই কুশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশকে বহিষ্কার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। খবর পেয়েই তরুণীর বাড়িতে আসেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে তৃণমূল নেতার আক্রমণে মৃত মা। এই ঘটনায় শাসখদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি শিবির। আরও পড়ুন-FIR Against Digvijaya Singh: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সাইকেল মিছিল, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

ওই তরুণী কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘‘মার সঙ্গে ঝগড়া করে আমি ছাদে উঠে এসেছিলাম। আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা গেম দেখছিলাম। হঠাৎই গাছ বেয়ে দুজন ছাদে উঠে আসে। তাদের এতজন আমার পা টেনে ধরে। একজন আমার মুখ চেপে ধরে। আমি কোনও মতে একবার মা বলে চিৎকার করতে পেরেছিলাম। তা শুনতে পেয়েই মা দৌড়ে ছাদে উঠে এসেছিল। তখনই ওরা মাকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।’’