প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ২৪ মে:  রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল না ঘটলেও শাসক তৃণমূলকে প্রায় খাদের ধারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপি শিবির। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ভোটের ফল বেরোতে না বেরোতেই রাজ্যে হিংসার ঘটনাও ঘটতে শুরু করেছে। অভিযোগ, কথামতো ‘জয় শ্রী রাম’(Jay Shree Ram) না বলাতে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক পেটাল একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্তের নাম চঞ্চল চক্রবর্তী(Chanchal Chakrabarty)। তিনি মাথায় চোট পেয়েছেন। তাঁর বাড়িতেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, ভাংচুর থেকে শুরু করে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। ২৩ তারিখ রাত সাড়েদশটা নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমমেদিনীপুরের শালবনিতে ভাদুতলায়। হামলার পর দুষ্কৃতীরা চম্পট দিলে আহত চঞ্চলবাবুকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি শালবনি( Salboni) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিন হাসপাতাল থেকেই হামলার ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন চঞ্চলবাবু। তিনি বলেন, ভোটে জেতার পরই স্থানীয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বলে। রাজি না হওয়াতেই এই দুর্গতি হয়েছে। এদিকে চঞ্চবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, বিজেপির কর্মীরা কিছুই করেনি। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগসূত্র নেই। জনরোষের শিকার হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি    নিজগুনেই অনেক শত্রু তৈরি করেছেন, এসব তাদের কাজ।

জানা গিয়েছে, চঞ্চলবাবু প্রমোটারি দুর্নীতি করে প্রচুর টাকাপয়সা কামিয়েছেন। ভাদুতলায় জাতীয় সড়কের ধারেই তাঁর পেল্লায় বাড়ি। স্থানীয় মানুষও বিশেষ ভাল চোখে দেখে না। কিন্তু বিজেপির দাবি মানতে নারাজ শালবনির তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, লোকসভার আসন দখল করতে না করতেই সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। দুপক্ষ এই হামলার দায় পরস্পরের ঘাড়ে চাপাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে তৃণমূলের নড়বড়ে রাজনৈতিক অবস্থান তাতে ভোটের ফলাফলের রাতের এই হামলাকে ঘিরে উত্তপ্ত পশ্চিমমেদিনীপুরের রাজনৈতিক বাতাবরণ।