TMC FLAG (Photo Credit: PTI)

রাত পোহালেই কার্তিক পুজো। আর এই বিশেষ পুজোতে নব দম্পতির বাড়িতে কার্তিক ফেলার চল রয়েছে। অনেকেই পরিচিত কারোর বাড়িতে চুপিসারে কার্তিক ফেলে যায়। মূর্তির সঙ্গে রেখে দেওয়া হয় এক কবিতা ভরা চিরকূট। যেখানে টাকার আবদার করেন অনেকে। এবার এই উদ্যোগ পাড়ার কোনও ছেলে ছোকড়া বা পরিচিত কেউ নিলেন না। বরং নিলেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা যাচ্ছে বৈদ্যবাটি পুরসভার (Baidyabati Municipality) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালী ভট্টাচার্য ও তাঁর কর্মীরা রাতের অন্ধকারে এলাকার একাধিক বাড়িতে কার্তিক ফেলে গিয়েছেন। গল্প এখানেই শেষ নয়, কার্তিক ফেলার জন্য টাকা চাওয়া হয়েছে বৈদ্যবাটি পুরসভার লেটার প্যাডে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরোতেই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন এই ঘটনা। প্রথমে তাঁরা ভেবেছেন সম্ভবত পরিচিত কেউ বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু চিরকূট খুলে দেখতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। টাকা চাইছেন খোদ বৈদ্যবাটির এক কাউন্সিলর, তাও আবার পুরসভার লেটার প্যাড ব্যবহার করে, যেখানে সরকারি স্ট্যাম্প ও পৌষালী ভট্টাচার্যের সই করা। অনেকেই এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এমনকী খোদ কাউন্সিলরও মজার ছলে তা শেয়ার করেছেন। তবে এমন নিন্দনীয় ঘটনা সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

কারণ একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারি কাগজে চাঁদা তোলার অবৈধ। এমনকী এই কাণ্ডের কথা পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতোর কানে যেতেই রেগে লাল হয়ে গিয়েছেন তিনি। পুরসভার অন্দরের খবর, কাউন্সিলরকে ফোন করে ধমকও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন আবার বিষয়টি হালকাভাবেই নিয়েছেন। তাঁর মতে, কাউন্সিলরের পুরসভার প্যাড ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা উচিত হয়নি। ঘটনাটির তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেছেন, তৃণমূল এখন টাকা খাওয়ার জন্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কার্তিক ঠাকুরকে কাটমানি তোলার জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।