Centenary Celebrations of Visva-Bharati University: বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর
মমতা ব্যানার্জি ও নরেন্দ্র মোদি (Photo credits : ANI)

কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে (Centenary celebrations of Visva Bharati University) আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ভাষণ শেষ হতেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Bose)। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তিনি ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিঙ্ক। ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পাননি মমতা।

বিশ্বভারতীর তরফে জানা গেছিল ৪ ডিসেম্বর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে। আজ পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? কেউ ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি দেখাতে পারবেন? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি?’’ আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, অনুষ্ঠানের আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে আলাদা করে অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়েছিল বলেও কিছু সাংবাদিক দাবি করেন। তার উত্তরে ব্রাত্য বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর এটা কোনও নিয়ম? এ ভাবে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়?’’ আরও পড়ুন: Centenary Celebrations of Visva-Bharati University: গুরুদেব রবীন্দ্রনাথই আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ব্রাত্য বসু দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে রবীন্দ্রনাথের পরিবার সম্পর্কে ভুল কথা বলেছেন। মন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বলেছেন বড়দা, উচ্চারণ ভুল করেছেন জ্ঞানদানন্দিনীর। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেন, কিন্তু, তাঁর মুখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা শোনা যায়নি। বলেন, এত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বললেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নেই?" মন্ত্রী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জাতীয়তাবাদের কথা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন জাতীয়তাবাদই সবচেয়ে বিভাজক জিনিস। ধর্মের দ্বারা বিভাজন ঠাকুর মেনে নেননি। তাঁর উপন্যাস ‘ঘরে বাইরে’-তে ঠাকুর সে কথাই বলেছেন।"