প্রতীকী ছবি(Photo Credit: IANS)

আসানসোল, ৫ ডিসেম্বর: এবার বিজেপির 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র আসানসোল। শনিবার সকালে আসানসোলের (Asansol) বারাবনিতে বিজেপির কর্মসূচি শুরু হতেই জমায়েত লক্ষ্য করে চলে গুলি। শুরু হয় বোমাবাজি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বেশকয়েকটি বাইকে। এই ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহ্ত যুবক বিজেপির কর্মী কালীচরণ দাস। তাঁকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকজনের আঘাত বেশ গুরুতর তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনা দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এদিকে খবর পেয়েই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাবি, 'বারাবনিতে বিজেপির চারটি গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায়ই এদের ঝামেলা হয়।

সবমিলিয়ে তৃণমূলের দাবি বারাবনির ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি। 'দুয়ারে সরকার'-এর সাড়া দেখে বিজেপি এই গন্ডগোল করছে। বারাবনির ঘটনায় পাঁচটি বাইকও পুড়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনটাই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। জিতেন্দ্র তেওয়ারি আরও বলেছেন, 'বিজেপি দলে এখন প্রচুর গুন্ডা ও দুষ্কৃতী ঢুকেছে। তারা যদি ইচ্ছে করে গন্ডগোল পাকায়, তার দায় তৃণমূলের নয়।' আরও পড়ুন-COVID-19 Crisis: করোনা মহামারীর জের, বন্ধ হয়ে গেল টাইমস গ্রুপের ‘পুনে মিরর’ সংবাদপত্র, পাঠকমহলে শোকের ছায়া

এদিকে সাতজন দলীয় কর্মীর আহত হওয়ার খবরে বেজায় চটেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই রাজ্যে আইনের শাসন ফিরবে।” দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরোধিতা করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল এই গোলমাল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের গায়ে কালি ছেটাতে নতুন কোনও সমস্যা তৈরির চেষ্টা করে চলেছে গেরুয়া শিবির।”