লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংসদপদ হারিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সেই সময় তাঁকে সামনে এনে কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এমনকী পরবর্তীকালে সাংসদ পদের জন্য আবারও সেই কৃষ্ণনগর থেকেই টিকিট পেয়েছিলেন মহুয়া। স্থানীয় নেতা, কর্মী, বিধায়কদের সাহায্য়ে জোরকদমে প্রচার চালিয়ে ভোটেও জিতেছিলেন তিনি। এবার সেই কৃষ্ণনগরের বিধায়করাই সাংসদের ওপর একাধিক অভিযোগ তুললেন। আর সেই অভিযোগ সরাসরি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কৃষ্ণনগরের ৬ বিধায়ক ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ জানান সাংসদের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিনহা রায়, নাকাশিপাড়ার কল্লোল খাঁ, কালিগঞ্জের নাসিরুদ্দিন আহমেদ, পলাশিপাড়ার মানিক ভট্টাচার্য, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের উজ্জ্বল বিশ্বাস. চাপড়ার রুকবানুর রহমান লিখিতভাবে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্য কমিটির তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিকেও একটি প্রতিলিপি দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন যে, সাংসদ মহুয়া মৈত্র দিল্লির কাজেই এতটা ব্যস্ত থাকেন যে সংগঠনের কাজে তাঁকে সেভাবে পাওয়া যায় না। এমনকী সংসদীয় এলাকাতেও তাঁকে বেশি দেখতে পাওয়া যায় না।
এছাড়া, তিনি নাকি নিজের মর্জিমাফিক সংগঠন চালাচ্ছেন। যখন তখন রদবদল করছেন। সেক্ষেত্রে নাকি কোনও বিধায়কেরই পরামর্শ নেওয়া হয় না। সাম্প্রতিককালে ১৭ জন অঞ্চল সভাপতি ও ১৭৮ জন বুথ সভাপতিকে বদলি করে যাঁদের আনা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর সেই কারণে মহুয়াকে বদল করে অন্য কাউকে সাংগঠনিক দায়িত্ব যেন দেওয়া হয়, সেই কথাই জানিয়েছেন এই ৬ বিধায়ক।