
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর !বৃহস্পতিবার কলকাতার সল্টলেকের বিকাশ ভবন অভিযানে আসেন চাকরিহারারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশও। বেলা গড়াতেই আশঙ্কা সত্যি হলো। শুরু হয় আন্দোলনকারীদের পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। এই সময়ে বিকাশভবনের সামনের দিকে গেট ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা (SSC Recruitment Scam)। একটা সময়ে বিকাশভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন চাকরিহারারা। তাঁদের দাবি, ভাতা নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। তারা বলেন রাজ্য সরকার আগেই আশ্বাস দিয়েছিল যে পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং প্রতিটি প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করা হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে এই আশ্বাসগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তাই তারা এখন রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে চাকরিহারারা আরো বলেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল মে মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তা হয়নি। রাজ্য উদ্যোগ নিচ্ছে না। একইসঙ্গে তারা প্রশ্ন তোলেন- বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তোলেন, "যদি দোষ অন্য কারো হয়, তাহলে আমাদের কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে?" বিক্ষোভকারীরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে যান, কিন্তু তার সাথে দেখা করতে পারেননি, যা তাদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দেয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু আন্দোলনকারীদের স্লোগানে তাঁকে ফিরে যেতে হয়। এই ঘটনার পর, বিকাশ ভবন কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে পুলিশ।
Tension at Bikash Bhavan as protesting jobless teachers over SSC 2016 clash with police, break gate, and raise slogans against TMC's Sabyasachi Dutta, demanding urgent talks. #SSC2016 #TeachersProtest #BikashBhavan #WestBengal #KolkataNews
read: https://t.co/fNfzz2vmcW pic.twitter.com/7TCcwLcEG3
— Taaza TV (@taazatv) May 15, 2025
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল, যার কারণে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছিলেন। পরে আদালত শিক্ষকদের সাময়িক স্বস্তি দেয়, তাদের স্কুলে যেতে এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পেতে অনুমতি দেয়। কিন্তু অশিক্ষক কর্মী অর্থাৎ গ্রুপ সি ও ডিদের ক্ষেত্রে এই রকম কিছু বলা হয়নি। তাই তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না।