new tea season in North Bengal (Photo Credit: X@airnews_kolkata)

ভারতীয় চা পর্ষদ , উত্তরবঙ্গে চায়ের নতুন মরসুম শুরুর দিনক্ষন ঘোষনা করেছে। আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে তরাই ও ডুয়ার্সে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাহাড়ের বাগানগুলিতে কাঁচা পাতা তোলার কাজ শুরু হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য ভালো মানের পাতা না মেলার কারনে চা পর্ষদ গত কয়েক বছর শীতের মরসুমে চা উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। চলতি শীতে গত ৩০ নভেম্বর উৎপাদন বনধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

ভালো মানের পাতা না মেলার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই টি বোর্ড শীতের শুখা মরশুমে উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসছে। কিন্তু এবারের শীতে উৎপাদন বন্ধের সময় অনেকটাই এগিয়ে এনে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছিল। গত বছর যা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। ফলে কাঁচা পাতা থাকা সত্ত্বেও ডিসেম্বর মাসের উৎপাদন মার খেয়েছে। যার জেরে বাগানগুলিকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ডুয়ার্সে এসে সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। অবশেষে  চলতি বছরের উৎপাদন শুরুর দিনক্ষণের কথা জানিয়ে নির্দেশিকা জারির পর বাগানগুলি ফার্স্ট ফ্লাশের কাজকর্মের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে।

তবে টি বোর্ডের তরফে এক-দু’টি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। যেমন যে সমস্ত বাগান প্রুনিং (চা গাছ ছাঁটাই) করেছে তারা যদি মনে করে বেঁধে দেওয়া দিনক্ষণের আগেভাগেই উৎপাদন মিলবে তবে চালুর জন্য আবেদন করতে পারে। পাশাপাশি অর্থোডক্স, গ্রীন টি ও স্পেশাল টি তৈরি করতে ইচ্ছুক বাগানগুলিও এজন্য আবেদন করতে পারবে।

জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘এবারে টি বোর্ডের উচিত মরশুমের প্রথম ভাগের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ফার্স্ট ফ্লাশের চায়ের যাতে ন্যায্য দাম মেলে তা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি রিপ্রসেসিংয়ের মাধ্যমে তৈরি চা যাতে বাজারে না আসে তার ওপরও কঠোর নজরদারি চালানো প্রয়োজন।’ আইটিপিএ-র ডুয়ার্স শাখার সম্পাদক রাম অবতার শর্মা বলেন, ‘২০২৪ সালের পরিস্থিতি দেখে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগে উৎপাদন বন্ধ করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা আর উচিত হবে না।’