ফুলবাড়ি(জলপাইগুড়ি), ১৫ আগস্ট: ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবসে রীতি মেনে মিষ্টিমুখ করলেন ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের (India-Bangladesh border) সেনা জওয়ানরা। ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ পুরসভার ফুলবাড়ি (Phulbari) চেকপোস্ট। এদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের মিষ্টিমুখ করান বাংলাদেশের বিজিবি জওয়ানরা। একই পদ্ধতিতে বিজিবি জওয়ানদের মিষ্টিমুখ করায় বিএসএফ। চলে কোলাকুলি সৌহার্দ্য বিনিময়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চেকপোস্টে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় শিশুরাই সেখানে নাচগান করবে বলে খবর। এই রীতি দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে, এই একটি দিন সমস্ত বিভেদ ভুলে দুই দেশের সেনাবাহিনী একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করে। বিএসএফের তরফে বিজিবি-র (Border Guards Bangladesh) সেনা কর্তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়। আরও পড়ুন-
উল্লেখ্য, এদিন লালকেল্লায় জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশও যে জঙ্গি হানার ভুক্তভোগী তাও মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি। সন্ত্রাস নির্মূলে সেদেশের সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসাও করেন তিনি।
Phulbari (West Bengal): Sweets exchanged at India-Bangladesh border between Border Security Force(BSF) and Border Guards Bangladesh(BGB) #IndependenceDayIndia pic.twitter.com/GTj89AvJcd
— ANI (@ANI) August 15, 2019
বলা বাহুল্য, গতকাল ১৪ আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছরের মতো এবার আর আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে মিষ্টান্ন বিনিময় হয়নি। প্রতিবছর ভারতীয় সেনা জওয়ানরা পাকিস্তানি রেঞ্জারদের মিষ্টি বিতরণ করেন। কিন্তু কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস উঠে যাওয়াতে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। যেনতেন প্রকারেণ ভারতকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে হেনস্তা করাটাই এখন ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য। তবে সেই উদ্দেশ্য সহজে সফল না হওয়াতে তালিবান ইস্যুকে সামনে রেখে খেলতে প্রস্তুত ইমরান খানের সরকার। এমনকী, ১৫ আগস্ট কালা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সেই মর্মে ঘোষণাও করা হয়েছে। গতকাল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস পালন করতে অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিদেশ মন্ত্রী মাহমুদ কুরেশি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাবল ভুট্টো।