শুভেন্দু অধিকারী (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১১ ডিসেম্বর: সারদা কর্তা সুদীপ্ত চিঠি নিয়ে সিবিআই (CBI) ডিরেক্টরকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সারদা চিট ফান্ড মামলায় (Saradha case) তদন্তে হস্তক্ষেপের গুরুতর আশঙ্কা রয়েছে, এই তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারেই সিবিআই চালাচ্ছে। শুভেন্দু আরও লেখেন, মন্ত্রীত্ব ছাড়ার পর এই চিঠি লেখার ঘটনা দেখেই সন্দেহ হচ্ছে। প্রভাবশালীদের সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষ যোগসাজস করে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে ওই চিঠি লেখানো হয়েছে। তাই এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক।

১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন। সংশোধনাগারের বিধি মেনে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে কারা বিভাগের এডিজি ও আইজিকে। চিঠিতে সারদা কর্তা লিখেছেন, অধীর চৌধুরী তাঁর কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। সুজন চক্রবর্তী তাঁর কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা নিয়েছেন, এছাড়াও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও ২ কোটি ও শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দিয়েছেন। এছাড়াও মুকুল রায়কে তিনি ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। চিঠিতে সুদীপ্ত সেন লিখেছেন মুকুল রায় প্রচুর টাকা নিয়েছেন। তবে টাকার পরিমাণ কত তিনি মনে করতে পারছেন না। আরও পড়ুন: 2016 Upper Primary Recruitment: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল কলকাতা হাইকোর্টের, ভোটের আগে জোর ধাক্কা রাজ্য সরকারের

সুদীপ্তর চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সামনে আসতেই আজ সিবিআইকে পাল্টা চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে বিচারাধীন বন্দী সুদীপ্ত সেন প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন, হঠাৎ এত বছর পরে তিনি অভিযোগ করেছেন যে ৫ জন রাজনীতিবিদ তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। তিনি তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে অনুরোধ করেছেন।" শুভেন্দু অধিকারী উল্লেখ করেছেন, পাঁচ জন এমন রাজনীতিবিদের নাম করা হয়েছে সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতে, তাদের নাম সিবিআইয়ের চার্জশিটে ছিল না। এমন কোনও অভিযোগ আগে ওঠেনি বা সারদা কর্তাও আগে করেননি। চিঠিতে সুদীপ্ত সেন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ধরনের ব্যক্তিরা এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দুর চিঠিতে ইঙ্গিত আছে যে তিনি তৃণমূল ছাড়তে পারেন এই আশঙ্কাতে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।