রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল সরকার (TMC)। এই প্রথমবার কোন জনসভায় নির্বাচনী প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে দল। কেবল নাম প্রকাশই নয়, প্রার্থীদের নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলার ৪২টি আসনে প্রার্থীদের নিয়ে এদিন জনগর্জন সভামঞ্চের র্যাম্পে হাঁটলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় চোখে পড়েছে একের পর এক চমক। মিলেমিশে একাকার নতুন পুরনো মুখ। তারকা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, থেকে শুরু করে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ, জুন মালিয়া, সায়নি ঘোষ, দেবাংগু ভট্টাচার্যের মত মুখদের লোকসভায় লড়ার জন্যে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে দল বাদ দিয়েছে গতবারের ৮ সাংসদকে। টিকিট পেলেন না মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানেরা।
তবে এদিন ব্রিগেড ময়দানে জনসভায় বক্তৃতা করতে উঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মাইক হাতে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, বিজেপি বাংলা এবং বাঙালি বিদ্বেষী। নরেন্দ্র মোদীর দলকে 'বহিরাগত' বলেও আক্রমণ করেন তিনি। সেই ভাষণের পরেই ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan) এবং কীর্তি দাসের মত অবাঙালিদের লোকসভার প্রার্থী করা নিয়ে এবার তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বললেন, ইউসুফ পাঠান গুজরাটের বাসিন্দা। আর মোদীজিও। মোদী যদি বহিরাহত হলে তাহলে ইউসুফ নয় কেন। সুকান্তর কটাক্ষ, 'বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে কি ভোটে লড়ার ক্ষমতা নেই। যে গুজরাট থেকে মুসলিম প্রার্থী নিয়ে আসছে তৃণমূল'।
বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে তৃণমূল দাঁড় করিয়েছে দাপুটে নেতা-মেন্ত্রী তথা স্থানীয় মুখ বিপ্লব মিত্রকে। বিরোধী বিপ্লবকে নিয়ে সুকান্তর মন্তব্য, 'কোন প্রার্থী পায়নি তাঁরা তাই ৭০ বছরের বয়স্ক মন্ত্রীকেই দাঁড় করিয়েছে। দিন কয়েক আগেই যার চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছে। শেষ বয়সে এসে ভোটে হারতে হবে'। তিনি এও দাবি করেন, ইডি এবং সিবিআইয়ের তালিকায় নাম রয়েছে প্রবীন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের। আগামী দিনে গ্রেফতার হতে পারেন বলেও সাবধান করেছেন সুকান্ত।