প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

পোলবা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: ফের পুলকার (Pool Car) উল্টে দুর্ঘটনার জেরে প্রাণের সঙ্গে লড়ছে দুই খুদে পড়ুয়া। জখম হয় প্রায় ১৬ খুদে। পুলকের চালকের অবস্থায় সঙ্কটজনক। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ হুগলির পোলবা, দিল্লি রোডে ঘটে দুর্ঘটনা। একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় পুলকারটি। বছর ৮-র দুই পড়ুয়া ঋষভ সিংহ, দিব্যাংশু ভগতকে ‘গ্রিন করিডর’ (Green Corridor) তৈরি করে হুগলি থেকে এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রচুর পাঁক ঢোকায় দু’জনেরই ফুসফুস প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। তাদের চিকিৎসার জন্য চেস্ট মেডিসিন, কার্ডিয়ো-থোরাসিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, সিসিইউ-সহ সাত বিভাগের চিকিৎসককে নিয়ে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড জানায়, দু’জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিশেষত ঋষভের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। এ জন্য রাতে ‘এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ পদ্ধতি বাইরে থেকে পাম্পের সাহায্যে, কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখা, চালু করা হয়েছে। এর আগে এসএসকেএমে কোনও শিশুর উপরে এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়নি। দুই খুদের খোঁজ নিতে এসএসকেএম সুপারকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন, বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থসাহায্য নিয়ে জটিলতা, আটকে ৫ লক্ষ কৃষকের ক্ষতিপূরণ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলকারটি খুব জোরে চলছিল। সামনের দিক থেকে আসা একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সটান নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি উল্টে যায়। শুক্রবার সকালে স্কুলগাড়িটি শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটী-সহ নানা জায়গা থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল। গাড়িতে ছিল ১৬ জ‌ন পড়ুয়া। পোলবার সুগন্ধ্যার কামদেবপুরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, পড়ুয়াদের সকলেই কমবেশি আহত হয়েছে। নোংরা জল, পাঁক পেটে চলে গিয়ে অসুস্থ হয়েছে অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা চালক ও শিশুদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠান। ১৩ জন পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ঋষভ, দিব্যাংশু, শিশুশ্রেণির অমরজিৎ সাহা, পুলকার-চালক পবিত্র দাসকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে পবিত্রকেও এসএসকেএমে পাঠানো হয়।