
সোমবার (১৯ মে, ২০২৫) বিকেলে প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা (Severe storm batters North 24 Pargana)র গোপালনগর থানার বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সনেকপুর এলাকা। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট ধরে চলা ঝড় ও বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে বহু বাড়িঘর ও গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিল, পটল, কলা-সহ বিভিন্ন ধরনের চাষের জমিও।
ঝড় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ কাটার কাজ শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু ও ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল অধিকারীর বাড়ির ওপর ঝড়ের সময় ভেঙে পড়ে একটি বড় বটগাছ। তখন ঘরের ভেতরে ছিলেন তাঁর পরিবার। কোনক্রমে তাঁদের বাচ্চাকে নিয়ে বের করে আনতে সক্ষম হন তিনি। এলাকাবাসী জানান, এত অল্প সময়ের ঝড়ে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা দাস বলেন, “বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে, গাছ পড়েছে উঠোনে, রাতে ছোটো বাচ্চা নিয়ে ভয়াবহ অবস্থায় কাটিয়েছি।” বিশ্বজিৎ বাগচি নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের কলার বাগান ও পটলের জমি একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। সরকার যেন দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে।”
Severe storm batters North 24 Parganas’ Bairampur villages, damaging 30 homes, toppling trees & wiping out sesame, banana & gourd crops. Power cuts reported, relief efforts underway. #North24Parganas #StormDamage #WestBengalWeather #RuralRelief
read: https://t.co/6dIQaWpYML pic.twitter.com/3bZ26nQl2Y
— Taaza TV (@taazatv) May 20, 2025
বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান হায়দার আলি মোল্লা জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে প্রায় ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। তিল, পটল, কলার মতো মৌসুমি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিডিও সাহেবের সঙ্গে কথা হয়েছে। মানুষকে দ্রুত সাহায্য করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে সরকারি সাহায্যের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানা গেছে।